‘মাথায় রাখতে হবে, মনের বয়স যেন না বাড়ে!’

সত্তর বছরের ‘তরুণ’ হাসছেন, ‘‘বয়স? সে তো একটা সংখ্যা! মাথায় রাখতে হবে, মনের বয়স যেন না বাড়ে।’’

Advertisement

প্রাণময় ব্রহ্মচারী

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:০০
Share:

বয়স-ভুলে: বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক

এ ভাবেও জানান দেওয়া যায়!

Advertisement

কেউ সত্তর পেরিয়েছেন, কেউ পঁচাত্তর, কেউ আবার বালাই ষাট বলে সদ্য ষাটে পা রেখেছেন। রবিবার বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে ওঁরাই দৌড়ে-হেঁটে-শটপাট ছুড়ে প্রমাণ করে দিলেন, তাঁরা খেলার মাঠ ছেড়েছেন ঠিকই কিন্তু ‘ফিটনেস’ তাঁদের ছেড়ে যায়নি।

মুর্শিদাবাদের মাস্টার্স অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশন এ দিন প্রবীণ নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। মুর্শিদাবাদ-সহ মোট আটটি জেলা থেকে মোট ২৫০ জন প্রতিযোগী যোগ দিয়েছিলেন এই প্রতিযোগিতায়। দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মালদহের অবনীকুমার সিংহ। সত্তর বছরের ওই ‘তরুণ’ হাসছেন, ‘‘বয়স? সে তো একটা সংখ্যা! মাথায় রাখতে হবে, মনের বয়স যেন না বাড়ে।’’ পঁচাত্তর বছরের গৌরচন্দ্র সরকার ও শ্যামাপদ দে আটশো মিটার হাঁটা প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান দখল করেছেন। গৌরবাবু দু’শো মিটার হাঁটা প্রতিযোগিতাতেও প্রথম হয়েছেন। সংস্থার সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘ভাবা যায়! এই বয়সে এই ফিটনেস!’’ বহরমপুরের গোরাবাজারের বাসিন্দা শ্যামাপদ দে বলছেন, ‘‘নিয়মিত শরীরচর্চার করি বলে এখনও চিকিৎসকের উপরে নির্ভর করতে হয় না।’’

Advertisement

ষাটোর্ধ্ব শ্যামা উপাধ্যায় ও বছর পঞ্চান্নের বেবী ঘোষেরাও এ দিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, ‘হাম কিসিসে কম নেহি’। শ্যামা উপাধ্যায় শটপাট ও ডিসকাস ছোড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement