ভোটার কার্ডে নাম তুলতে স্কুল-কলেজে গড়া হল ক্লাব

এই কাজ সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য কল্যাণীর জেআইএস ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে মঙ্গলবার সূচনা হল ইলেকটোরাল লিটারেসি ক্লাবের। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কল্যাণী শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:২২
Share:

চার মূর্তি, কৃষ্ণনগর।

লোকসভা ভোটের জন্য ১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে ভোটার কার্ডে নাম তোলা শুরু হয়েছে। এই কাজ সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য কল্যাণীর জেআইএস ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে মঙ্গলবার সূচনা হল ইলেকটোরাল লিটারেসি ক্লাবের।

Advertisement

প্রাপ্তবয়স্ক সকলেই যাতে ভোটার তালিকায় নাম তোলেন, তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন এই পদক্ষেপ করেছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলার সব বুথে ভোটারদের নিয়ে এ রকম ক্লাব তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। জেআইএস ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এ দিন ওই ক্লাবের সূচনা করেন কল্যাণীর মহকুমা শাসক ইউনুস রিশিন ইসমাইল।

মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন প্রশাসনিক কর্তারা ওই কলেজে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। উৎসাহী কিছু পড়ুয়াকে নিয়ে ক্লাব তৈরি করেন। সরকার গঠনের কাজে জনগণের যোগ দেওয়া কতটা প্রয়োজনীয়, তা ব্যাখা করেন মহকুমাশাসক। এ জন্য ভোটার তালিকায় নাম তোলা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বলবেন আধিকারিকেরা।

Advertisement

ভোটার তালিকায় নাম তোলা জরুরি, এই বিষয়ের উপর পোস্টার ও ছবি আঁকার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন অনেক পড়ুয়াই। ভোটার হওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে স্লোগান লেখার প্রতিযোগিতাতেও অনেকেই অংশ নেন। এই প্রকল্পের নোডাল অফিসার বাসুদেব রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘আসলে সরকারের উদ্দেশ্য হল, প্রাপ্তবয়স্ক ও যোগ্য সকলের নামই যাতে ভোটার তালিকায় ঠাঁই পায়, তা নিশ্চিত করা। এই কারণেই এই ক্লাব তৈরি করা হচ্ছে।’’

জেআইএস ছাড়াও মহকুমার আরও বেশ কিছু স্কুল-কলেজে এ রকম ক্লাব তৈরি করা হবে। এই লক্ষ্যে প্রশাসনিক কর্তারা বিভিন্ন কলেজ ও স্কুলে যাচ্ছেন। সেখানে পড়ুয়া, শিক্ষক, স্কুল কর্মী ও আধিকারিকদের মধ্যে দু’রকমের আবেদনপত্র বিলি করা হচ্ছে। একটি হল ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আবেদনপত্র। আর অন্যটি হল নাম-ঠিকানা সংশোধনের জন্য আবেদনপত্র। পর্যাপ্ত পরিমাণে ওই আবেদনপত্র দেওয়া হচ্ছে। পড়ুয়ারা তাঁদের এলাকায় গিয়ে লোকজনের মধ্যে ওই আবেদনপত্র বিলি করবেন। আর ক্লাবের সদস্য হিসাবে পড়ুয়ারা ভোটাধিকারের প্রয়োজনীয়তা প্রচার করবে। জেআইএস কলেজের আধিকারিক দীপক ঘোষ বলেন, ‘‘প্রশাসনের এই উদ্যোগে পড়ুয়ারা খুশি। তাঁরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আবেদনপত্র বিলি করতে শুরু করেছেন।’’ জেলাপ্রশাসনের এক কর্তা জানান, গ্রামের বুথগুলিতে স্কুল শিক্ষকদের নিয়ে ক্লাব তৈরি হবে। তাঁর মতে, এখনও শিক্ষকদের উপর ভরসা রাখেন মানুষ। তাই শিক্ষকদের এই কাজে সামিল করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন