প্রতীকী চিত্র।
‘রোমিও’ ধরতে পুজোর ভিড়ে মিশে থাকবে সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশ! মহিলা পুজো দর্শনার্থীদের উদ্দেশে কটুক্তি ছুড়ে দিলে অথবা তাঁদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করলেই যাতে দ্রুত পদক্ষেপ করতে পারে, তাই পুজোর লাইনে সাদা পোশাকে মহিলা পুলিশ মোতায়েন থাকবে। নির্বিঘ্নে পুজো দেখার সুযোগ করে দিতেই এমন সিদ্ধান্ত মুর্শিদাবাদ পুলিশ প্রশাসন। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলছেন, ‘‘পুজোয় রোমিও থেকে পকেটমার-ছিনতাই বন্ধ করতে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন থাকবে। থাকবে সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশও।’’
প্রতি বছর পুজোর ভিড়ের সুযোগ নিয়ে প্রতিমা দর্শনার্থী মহিলাদের লক্ষ্য করে কটুক্তি করার পাশাপাশি অশালীন আচরণ করে থাকে রোমিও-রা। এছাড়াও হার-দুল-সহ সোনার গয়না ছিনিয়ে নেওয়ার মত ঘটনাও ঘটে। তাই প্রতি বছরের মত এ বছরও অপ্রীতিকর ওই ঘটনা এড়াতে জেলা পুলিশ প্রশাসন বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে অন্যতম সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশ নামানো। ওই মহিলা পুলিশ পুজোর ভিড়ের সাথে মিশে থাকবে, যাতে রোমিওদের চিহ্নিত করে দ্রুত পদক্ষেপ করা যায়।
গত জুলাইয়ে রথের দিন বহরমপুরের খাগড়ায় রথের শোভাযাত্রা বেরিয়েছিল। ওই শোভাযাত্রায় ঢুকে খাগড়া এলাকার এক মহিলার গলার হার ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। সে দিন ওই শোভাযাত্রা থেকে এক মহিলাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। পরে জানা যায়, চুরি-ছিনতাইয়ের জন্য ওই ভিড়ে মিশে ছিল ধৃত ওই মহিলার আরও কয়েকজন সঙ্গী। পুলিশ জানায়, রথযাত্রা কিংবা দুর্গাপুজো, কালীপুজোয় দর্শনার্থীরা ভিড় জমান। সেই সুযোগ নিয়ে পকেটমার কিংবা গয়না ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে থাকে। অপ্রীতিকর ওই ঘটনা এড়াতেই পুলিশ কোমর বেঁধে নেমেছে। জেলা সদর বহরমপুর থেকে শুরু করে জেলা জুড়ে পুজোর ক’দিন রাস্তায় অতিরিক্ত পুলিশ নামানো হবে, বাড়ানো হবে টহলদারিও। এছাড়া ‘আলোর পথে’ নামে থাকা জেলা পুলিশের ‘মোবাইল অ্যাপসে’ অভিযোগ জানানো যেতে পারে। এ ছাড়া ০৩৪৮২-২৫০০৯৯ ফোন করে জেলা পুলিশ কন্ট্রোল রুমেও অভিযোগ জানানো যাবে বলে জেলা পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুজো এলেই একশ্রেণির মোটরবাইক বাহিনী রোমিও’র উপদ্রব বেড়ে যায়। বিশেষ করে মহিলাদের দিকে অশালীন মন্তব্য ছুড়ে দিয়ে দ্রুত মোটরবাইক চালিয়ে যাওয়ার প্রবণতা কাজ করে। ওই ইভ-টিজিং ঠেকাতে পুজো মণ্ডপের কাছে, শহরের বিভিন্ন রাস্তায় সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন থাকবে, যাতে হাত ফসকে কোনও ভাবে যাতে রোমিও’রা পালিয়ে যেতে না পারে। ভিড়ের লাইনে হোক অথবা পাড়ার মোড়ে টিপ্পনি ছুড়ে দেওয়ার আগে সাধারণ দর্শনার্থী না কি সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশ বোঝার আগেই ঠাঁই হবে ‘শ্রী-ঘরে’! তাই সাবধান!