মেয়াদ ফুরোনো সিলিন্ডার

মেলায় আগুন খেলা!

নীল-সাদা শামিয়ানা, ‘সরকারি রঙের’ বেলুন, অজস্র প্রচার-ফ্লেক্স, রয়েছে সবই। আগুন লাগলে চকিতে তা নিভিয়ে ফেলার জন্য মেলাক আনাচকানাচে তৈরি রয়েছে ২৪টি ফায়ার এক্সটিংগুইজার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৪৯
Share:

শ্রমিক মেলায়: শুক্রবার বহরমপুর এফইউসি ময়দানে। নিজস্ব চিত্র

ফেলে দেওয়া সিগারেটের টুকরো থেকে পুড়েছিল চেয়ার। কপালে ভাঁজ ফেলে পরের দিনই জেলা পরিষদ ভবনে সিগারেট খাওয়ার উপরে নেমে এসেছে খাঁড়া।

Advertisement

প্রশাসনিক তৎপরতার চালচিত্রে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় এ যদি নির্দশন তা হলে আসুন এক বার ঘুরে আসা যাক বহরমপুরের এফসিইউ ময়দানের শ্রমিক মেলায়।

নীল-সাদা শামিয়ানা, ‘সরকারি রঙের’ বেলুন, অজস্র প্রচার-ফ্লেক্স, রয়েছে সবই। আগুন লাগলে চকিতে তা নিভিয়ে ফেলার জন্য মেলাক আনাচকানাচে তৈরি রয়েছে ২৪টি ফায়ার এক্সটিংগুইজার। তবে খেয়াল করে দেখুন, তার সব ক’টিই মেয়াদ উত্তীর্ণ। আগুন লাগলে প্রায় খালি সেই সব অগ্নি নির্বাপণ সিলিন্ডারের দিকে তাকিয়ে ছাড়া কোন উপায় নেই।

Advertisement

মেলার প্রধান উদ্যোক্তা শ্রমদফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জাকির হোসেন অবশ্য চিন্তার কিছু দেখছেন না। নির্বিকার গলায় বলছেন, ‘‘মেলার উদ্বোধনের দিনে এ ছাড়া আর কিছু চোখে পড়ল না! এই সব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মাথা না ঘামানোই ভাল।’’ যা শুনে, সিটুর রাজ্য নেতা তুষার দে বলছেন, ‘‘তা হলে ধরে নিতেই হচ্ছে, শ্রমিক দরদী মন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তা নয়, দেখনদারিটাই শেষ কথা!’’

সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে অসংগঠিত শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করার ব্যাপারে রাজ্যে প্রথম দিকেই রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা। অথচ সেখানেই শ্রমিক মেলায় মন্ত্রীর এমন নিস্পৃহ উত্তর শুনে মুখ পুড়েছে শাসক দলের। তৃণমূলের এক জেলা নেতা বলছেন, ‘‘কথা বলতে না জানলে, বেফাঁস কথা বলার মানে কি!’’

শুক্রবার ওই মেলায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, মেলার মঞ্চ-সহ ২৪টি স্টলে মেয়াদ উত্তীর্ণ আপৎকালীন অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র লাগানো রয়েছে। সিলিন্ডারগুলির অধিকাংশই খালি। বিকেলের দিকে এ ব্যাপারে অবশ্য টনক নড়ে আয়োজকদের।

মন্ত্রী জেলার শ্রম অধিকর্তা পতিতপাবন দাসকে ডেকে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। পতিতপাবন পরে বলেন, ‘‘এটা আসলে ডেকরেটারদের কাজ। ওরাই ভুলটা করেছে। আমরা ওগুলি বদলে দিতে বলেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন