জলের তলায় খেত, বিপাকে চাষিরা

কয়েক দিনের বৃষ্টি, ফেঁপে ওঠা গঙ্গার জলে জলমগ্ন হয়ে পড়ল ধুবুলিয়ার বেলপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাংশ। ওই এলাকার চারটি মৌজা— বলাইনগর, দুর্গাবাস, চরবেহালা, বেলপুকুরের চাষের জমি, গঙ্গা চরের চাষের জমি এখন জলের তলায়। এর মধ্যে দুর্গাবাস এলাকায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি। দুর্গাবাসের বাসিন্দা মানিক ঘোষ তাঁর চার বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধুবুলিয়া শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৫ ০০:৫৬
Share:

ধুবুলিয়ায় এ ভাবেই ডুবে গিয়েছে ধানের খেত। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।

কয়েক দিনের বৃষ্টি, ফেঁপে ওঠা গঙ্গার জলে জলমগ্ন হয়ে পড়ল ধুবুলিয়ার বেলপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাংশ। ওই এলাকার চারটি মৌজা— বলাইনগর, দুর্গাবাস, চরবেহালা, বেলপুকুরের চাষের জমি, গঙ্গা চরের চাষের জমি এখন জলের তলায়। এর মধ্যে দুর্গাবাস এলাকায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি।
দুর্গাবাসের বাসিন্দা মানিক ঘোষ তাঁর চার বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘মহাজন ও ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ধার করে চাষ করেছিলাম। সব জলে গেল। ছেলেমেয়েদের মুখে এখন কী তুলে দেব ভেবে পাচ্ছি না।’’ তিনি জানান, অন্য বছর ফসল কাটার সময় জমিতে জল ওঠে। এ বছর চাষের শুরুতেই সব ভেসে গেল। একই ভাবে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পাটচাষি মদন ঘোষ, দীপক ঘোষেরা।
কৃষ্ণনগর দু’নম্বর ব্লক কৃষি দফতরের কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক তাপস মণ্ডল বলেন, ‘‘চারটি মৌজার মধ্যে দুর্গাবাসের ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। চারটি মৌজা মিলিয়ে প্রায় ১০০ হেক্টর জমি জলমগ্ন। পাট ও ধানের ক্ষতি হয়েছে। আমরা রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি।’’

Advertisement

দুর্গাবাসের বিজেপি সদস্য সমীর ঘোষ বলেন, ‘‘গত ৪-৫ দিন ধরে জল ঢুকছে। আমরা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বিষয়টি জানাচ্ছি। সাহায্য না মিললে চাষিরা বেঘোরে মারা যাবেন।’’ বেলপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শীতল ঘোষ বলেন, ‘‘চাষিরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান, সে জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন