নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সুতি থানা এলাকার এই ঘটনায় থানায় বাবার বিরুদ্ধে সরাসরি মেয়েই অভিযোগ জানিয়েছে। ওসি-র কাছে কান্নায় ভেঙে পড়ে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া মেয়ের তার বাবার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে। এ দিনই জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। তাতে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত পেশায় ফেরিওয়ালা। বছর চোদ্দোর ওই কিশোরীর দু’টি ছোট ভাই রয়েছে। বছর তিরিশের অসুস্থ মা দুই শিশুপুত্রকে সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসার জন্যে কলকাতায় গিয়েছিলেন। বাড়িতে ওই কিশোরী ও তার বাবা রয়েছেন। কিশোরীর অভিযোগ, মঙ্গলবার গভীর রাতে সে যখন ঘুমিয়ে ছিল তখন বাবা তার উপর অত্যাচার চালায়। এই ঘটনার পরে মাঝরাতেই ওই কিশোরী বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে। তার কথায়, ‘‘ভেবেছিলাম এ জীবন আর রাখব না!’’ প্রায় দেড় কিলোমিটার হেঁটে শঙ্করপুর ভিডিওতলার মোড়ে চলে আসে। গভীর রাতে এক কিশোরীকে এ ভাবে ঘুরতে দেখে পাহারারত নৈশপ্রহরীরা তাকে আটকায়। এক সময় কান্নায় ভেঙে পড়ে কিশোরী বাবার অত্যাচারের কথা জানায়। নৈশ প্রহরীরাই এরপর সুতি থানায় বিষয়টি জানায়। পুলিশ গিয়ে কিশোরীকে থানায় নিয়ে আসে।
ওই কিশোরী যখন বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছে, ততক্ষণে কিশোরীর মা কলকাতা থেকে বাড়ি ফিরে এসেছেন। মা বলেন, ‘‘মেয়ের কথা জিজ্ঞাসা করলে স্বামী জানান রাতের বেলায় রাগ করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে।’’ ইতিমধ্যে কিশোরীর অভিযোগ পেয়ে বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে হাজির হয় সুতি থানার পুলিশ। তখনই আটক করা হয় বাবাকে। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘এ রকম স্বামী জেলে থাকলেই মঙ্গল।’’
মেয়ে অবশ্য ওসি সুব্রত ঘোষের কাছে দাবি করেছে, ‘‘জেল নয় স্যার, বাবাকে ফাঁসি দেওয়ার ব্যবস্থা করুন!’’