আপনার আদালত

বৃষ্টি পড়লে পথ ডোবা, ভোগান্তি ফাজিলনগরে

নারায়ণপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বড় নিকাশি নালা তৈরির মতো প্রয়োজনীয় অর্থ পঞ্চায়েতের নেই। বিষয়টি ব্লক ও জেলা প্রশাসনকে জানানো হবে।

Advertisement

চামেলি মণ্ডল

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৭ ১৪:০০
Share:

বেহাল: বর্ষায় এমনই হাল রাস্তার। নিজস্ব চিত্র

ফাজিলনগর, তহবাজার, মাহাতপাড়া, দাসপাড়ায় প্রতি বছর বর্ষাকালে হাঁটু জল জমে থাকে। যাতায়াতে সমস্যা হয়। নিকাশি নালা তৈরির কোনও পরিকল্পনা আছে কি?
নাসিরুদ্দিন বিশ্বাস, ফাজিলনগর

Advertisement

প্রধান: বড় নিকাশি নালা তৈরির মতো প্রয়োজনীয় অর্থ পঞ্চায়েতের নেই। বিষয়টি ব্লক ও জেলা প্রশাসনকে জানানো হবে।

লালনগর, পিয়ারপুর ও ফাজিলনগরে আর্সেনিকযুক্ত জলের জন্য সমস্যায় রয়েছেন বাসিন্দারা।

Advertisement

সওকত সর্দার, লালনগর

প্রধান: পঞ্চায়েতের অনেক গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়েছে। বাকি গ্রামে পানীয় জল সরবরাহের জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে জানিয়েছি।

ফাজিলনগরের কাছারিমোড়, তহবাজার, পিয়ারপুর বা নারায়ণপুর বাসস্ট্যান্ডে কোনও শৌচালয় নেই। বাসযাত্রী থেকে শুরু করে পথচারী ও বাজারে আসা মানুষের বিশেষ করে মহিলাদের খুব অসুবিধা হয়।

বীথিকা হালদার, নারায়ণপুর।

প্রধান: নারায়ণপুর বাজারের পাশে একটি পুরনো শৌচালয় রয়েছে। বাকি জায়গাগুলোয় সত্যিই শৌচালয় প্রয়োজন। কিন্তু সরকারি জমি না পাওয়ার জন্য সেগুলো পঞ্চায়েত তৈরি করতে পারছে না।

পঞ্চায়েত এলাকার লালনগর ও ফাজিলনগরের জমি প্রতি বছর বর্ষাকালে যে ভাবে ভেঙে যাচ্ছে তাতে নদীবাঁধ না দিলে আবাদি জমি ও বাড়ি ঘর ভাঙনে নষ্ট হয়ে যাবে।

হাসেম মণ্ডল, লালনগর

প্রধান: এ ব্যাপারে বিডিও ও জেলা সেচ দফতরকে জানানো হয়েছে। একশো দিনের কাজে ওখানে মাটির বাঁধ দেওয়ার প্রকল্প নিয়েছে পঞ্চায়েত। কিন্তু ওখানে কংক্রিট বাঁধ তৈরি করার দরকার।

হাগনাগাড়ি থেকে আমতলাঘাট পর্যন্ত আট কিলোমিটার রাস্তার বেশি অংশ ভেঙে গিয়েছে। যান চলাচলের অযোগ্য। ছাত্রছাত্রী থেকে নিত্যযাত্রী বা রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সমস্যা হচ্ছে। ওই রাস্তা সারানোর জন্য পঞ্চায়েতের উদ্যোগ কি?

সাইফুল মণ্ডল, পিয়ারপুর

প্রধান: নারায়ণপুর থেকে পিয়ারপুর মাদ্রাসা অবধি তিন কিলোমিটার রাস্তা প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার। বাকি রাস্তা পূর্ত দফতরের। পঞ্চায়েত এই রাস্তা সারাতে পারবে না। সমস্যার বিষয়ে জেলা পূর্ত দফতরকে জানিয়েছি।

এলাকার অনেক দুঃস্থ পরিবারের নাম এপিএল তালিকাভুক্ত হওয়ায় আবাস যোজনার ঘর পাচ্ছেন না। অথচ অনেক পাকাবাড়ি ও সচ্ছল পরিবার বিপিএল তালিকায় থেকে সরকারি ঘর পাচ্ছেন।

ভাদুজান বেওয়া, পিয়ারপুর

প্রধান: ২০১১ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী এই তালিকা তৈরি হয়েছে। তালিকার বাইরে যারা ঘর পাওয়ার যোগ্য তাদের ছবি-সহ নামের একটা তালিকা পঞ্চায়েত থেকে বিডিও অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে সদুত্তর এখনও পাওয়া যায়নি।

এলাকায় অনেকের বয়স ৭০ বা ৮০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তাদের নাম বিপিএল তালিকায় থাকার পরেও বিধবাভাতা, বার্ধক্য ভাতার মতো সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন না।

মদন মিস্ত্রি, পিয়ারপুর

প্রধান: সকলের নামের তালিকা আমরা বিডিও অফিসে পাঠিয়েছি। ব্লক প্রশাসনের অনুমোদন পেলেই তারা সরকারি সাহায্য পাবেন।

বহু দিন আগে ফরাশডাঙায় জলঙ্গি নদীর উপর নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের মধ্যে একটি সেতু তৈরি কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও নির্মাণের কাজ হয়নি।

বিমান বারিক, নারায়ণপুর

প্রধান: সেতু তৈরিতে প্রয়োজনীয় জমি নিয়ে একটা সমস্যা ছিল। নদিয়া জেলায় জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। জমির মালিকদের টাকাও মিটিয়ে দিয়েছে সরকার। কিন্তু মুর্শিদাবাদ জেলায় জমি জটিলতা কাটেনি। তাই দেরি হচ্ছে।

পঞ্চায়েত এলাকায় সজলধারার ব্যবস্থা নেই। বিভিন্ন গ্রামে একটি করে সজলধারা তৈরি হলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হতো।

আশুতোষ মাহাতো, ফাজিলনগর

প্রধান: সজলধারা তৈরির চেষ্টা করছি। সরকার টাকার অনুমোদন করলেই সেগুলো করা হবে।

সঞ্চালনায় কল্লোল প্রামাণিক

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন