নেভানো হচ্ছে আগুন, করিমপুরে
ভস্মীভূত হল করিমপুর ২ ব্লক প্রশাসনিক কার্যালয়।
সোমবার ভোরে করিমপুর থানার মহিষবাথানে ওই আগুন লাগে। দমকলের দুটি ইঞ্জিন প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। করিমপুর ২-এর বিডিও তাপসকুমার কুণ্ডু জানান, আগুনে আটটি কম্পিউটার, গুরুত্বপূর্ণ নথি, চেয়ার-টেবিল ছাড়াও ভিডিও কনফারেন্স ব্যবস্থা নষ্ট হয়েছে। তাপসবাবু বলেন, “নৈশ প্রহরীর কাছে আগুন লাগার কথা জেনে দমকল ও পুলিশকে জানাই। কিন্তু তার আগেই বহু নথি পুড়ে গিয়েছে।” কিন্তু, কী ভাবে আগুন লাগল?
করিমপুর দমকল কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুখেন সরকার বলেন, “প্রাথমিক জানা গিয়েছে, কম্পিউটার ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের তার অগোছালোভাবে রাখা ছিল। তা থেকেই সর্ট সার্কিট হয়ে থাকতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “এলাকার বহু সরকারি ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা হয় না। একাধিকবার সতর্ক করা সত্বেও কেউই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন না!” সকালে আগুন লাগার খবর দুপুর পর্যন্ত জানতেন না সিপিএমের স্থানীয় বিধায়ক সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ। পরে বিষয়টি জেনে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “বিডিও তো কিছুই বলেননি!” ঘটনার পিছনে চক্রান্তের কথা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিধায়ক। তিনি বলেন, “এটি নিছক দুর্ঘটনা, না কি কোনও দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টা— তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।”
অন্য দিকে, আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল প্রায় তিরিশটি বাড়ি। বাড়িতে রাখা ধান-চাল-গবাদি পশুও আগুনে পুড়েছে। সোমবার দুপুর দু’টো নাগাদ চাপড়ার গোয়লাডাঙায় পাটকাঠির গাদা থেকে ওই আগুন লাগে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। পরে এক ঘণ্টার চেষ্টার দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তৃণমূলের যুবনেতা কামরুল বিশ্বাস ওরফে বাপি বলেন, “আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রিপল, চাল-ডাল দিয়ে সাহায্য করেছি।”