ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ, অভিযুক্ত কিশোর

নবম শ্ৰেণির এক ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:৫৭
Share:

নবম শ্ৰেণির এক ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে।

Advertisement

গত ১১ অক্টোবর নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগানো, ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বছর চোদ্দোর কিশোরী কোয়েল বক্সী-র (১৪)। ঘটনার প্রায় দু’-সপ্তাহ পরে সোমবার দুপুরে নবদ্বীপ থানায় বিক্রম রায় নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে কোয়েলকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন কোয়েলের মা পারুল বক্সী। তাঁর দাবি ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এবং ওই যুবকের জন্যই তাঁর মেয়ে নিজেকে শেষ করার পথ বেছে নিয়েছে।

পানশীলা গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী কোয়েল মহেশগঞ্জ চরমাজদিয়া গভর্মেন্ট কলোনির বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বক্সীর ছোট মেয়ে। বিশ্বজিৎবাবু কাপড় ফেরি করে সংসার চালান। এ দিন পারুল দেবী জানিয়েছেন, গত বছর পৌষকালী পুজোর সময় তাঁদের এক প্রতিবেশীর বাড়ি বেড়াতে এসেছিল দত্তফুলিয়া হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্ৰেণির ছাত্র বিক্রম রায়। দত্তফুলিয়ার বাসিন্দা বিষ্ণু রায়ের ছেলে বিক্রমের মাসির বাড়ি আবার পারুল দেবীদের পাড়াতেই। সেই সময় বিক্রমের সঙ্গে পরিচয় হয় কোয়েলের এবং দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়।

Advertisement

সেই সম্পর্কের কথা প্রথম জানতে পারেন কোয়েলের দিদি পূজা। বোনকে এই সম্পর্কে জড়াতে নিষেধ করেছিলেন দিদি। পূজা বলেন “বোন মারা যাওয়ার কিছুদিন আগে থেকে ওদের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল। ওদের মধ্যে সমস্যা হচ্ছিল। বোন কারও সঙ্গে কথা বললেই সন্দেহ করত বিক্রম। উল্টোপাল্টা বলত। এমনকি বিক্রম বোনকে অনেক সময় হুমকিও দিত।’’ তাঁর কথায়, ‘‘যে দিন কোয়েলের দেহ পাওয়া যায় সেই ১১ অক্টোবর সন্ধ্যায় বিক্রম ফোন করেছিল বোনকে। দু’জনের মধ্যে দীর্ঘ সময় কথা হয়েছিল।”

এর পর পূজা এবং তাঁর মা পারুল দেবী পুজোর কেনাকাটা করতে স্থানীয় বাজারে যান। বিশ্বজিৎবাবু সে সময় ব্যবসার কাজে উত্তরপ্রদেশে ছিলেন। বাড়িতে একাই ছিল কোয়েল। বাজার থেকে ফিরে অনেক ডাকাডাকি করেও কোয়েলের সাড়া মেলেনি। এর পর জানলা দিয়ে দেখা যায়, ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে কোয়েল। দ্রুত তাকে মহেশগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে
ঘোষণা করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন