প্রতীকী ছবি।
দলীয় তহবিল গড়তে দলের কর্মী এবং সাধারণের উপরেই ভরসা করতে চায় বিজেপি। চাঁদা আদায়ের সেই কুপন কলকাতার দলীয় কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করে ফেরার পথেই ‘লুঠ’ হয়ে গেল! অভিযোগের আঙুল উঠল, দলেরই এক শ্রেণির কর্মীর বিরুদ্ধে।
বিজেপি-র অন্দরে খবর, নদিয়ায় দলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরেই এমন কাণ্ড, যা শুধু জেলা নেতাদের নয়, দলের সার্বিক ভাবমূর্তিতেও কালি ছিটিয়েছে। মুখ থুবড়ে পড়তে পড়তে কোনও ক্রমে গুজরাতে মান বেঁচেছে দলের, হিমাচল দখল করলেও হেরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কপালে ভাঁজ ফেলা এ দুরবস্থায় জেলা বিজেপির এই আকচাআকচি নিয়ে অস্বস্তিতে জেলা নেতারা। রবিবার রাতেও ওই গোষ্ঠী কাজিয়ার ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন তিন বিজেপি কর্মী। জেলা কিষান মোর্চা সভাপতি অসিত প্রামাণিক এবং রাজু দত্ত নামে ওই দুই কর্মীকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোজ বীনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি কবুল করেছেন, ‘‘এটা দলের আভ্যন্তরীণ বিরোধ।’’ ওই ঘটনায় টুটুল দাস নামে অন্য এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রানাঘাট জিআরপি আইসি দেবকুমার রায় বলেন, “দুই গোষ্ঠী পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’’ রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে ৬২ লক্ষ টাকার কুপন নিয়ে মনোজ হবিবপুরে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর কাছে ৫০, ১০০, ২০০ ও ৫০০ টাকার কুপন ছিল। কলকাতা অফিস থেকে ওই কুপন নিয়ে তিনি পরিচিত এক জনের গাড়ীতে কল্যাণী আসেন। কল্যাণী স্টেশন থেকে তিনি আপ কৃষ্ণনগর লোকালে উঠতেই তাঁর থেকে কয়েক জন ছিনিয়ে নেয় কুপনের প্যাকেট। সেই সময় মনোজদের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর অসিত উপস্থিত ছিল বলে অভিযোগ। ধাক্কাধাক্কিতে জখম অসিতের দাবি, “আমরা ট্রেনে ফিরছিলাম। সেই সময় মনোজ-সহ কয়েক জন মারধর করে।’’ এই প্রসঙ্গে দলের জেলা সভাপতি জগন্নাথ সরকার বলেন, “ব্যাপারটা উচ্চ নেতৃবর্গকে জানিয়েছি।”