হরিণঘাটা

মমতাবালার অফিসে তালা, কোন্দল

ফের তৃণমূল বনাম তৃণমূল। এবার স্বাধীনতা দিবসের সকালে বনগাঁর সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের কার্যালয়ের তালা ভেঙে নতুন তালা লাগিয়ে দেওয়া হল। মমতাবালার অভিযোগ, সোমবার তাঁর লোকেরা জাতীয় পতাকা তুলতে গেলে কয়েক জন বাধা দেয়। বাধ্য হয়ে বাড়ির দোতলায় পতাকা তোলা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কল্যাণী শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৬ ০১:৩৬
Share:

ফের তৃণমূল বনাম তৃণমূল।

Advertisement

এবার স্বাধীনতা দিবসের সকালে বনগাঁর সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের কার্যালয়ের তালা ভেঙে নতুন তালা লাগিয়ে দেওয়া হল।

মমতাবালার অভিযোগ, সোমবার তাঁর লোকেরা জাতীয় পতাকা তুলতে গেলে কয়েক জন বাধা দেয়। বাধ্য হয়ে বাড়ির দোতলায় পতাকা তোলা হয়। তাঁর লোকেরা সেখান থেকে চলে যাওয়ার পরেই কয়েক জন অফিসের তালা ভেঙে ফেলে। পরে একটি নতুন তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

খবর পেয়ে মমতাবালা জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তকে জানান। গৌরীবাবু জানান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা হরিণঘাটা ব্লক তৃণমূল সভাপতি চঞ্চল দেবনাথকে। তার পরেই তালা খুলে দেওয়া হয়। গৌরীবাবু বলেন, ‘‘কিছু ভুল বোঝাবুঝি ছিল। মিটে গিয়েছে।’’

বিকেলে মমতাবালা হরিণঘাটা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন হরিণঘাটার বাসিন্দা তথা চাকদহের বিধায়ক রত্না ঘোষ। ওই ঘটনায় হরিণঘাটার তৃণমূল বিধায়ক তথা চাকদহের বাসিন্দা নীলিমা নাগের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছেন দলেরই একাংশ। সাংসদ অবশ্য প্রকাশ্যে বলছেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি, যারা এ কাজ করেছে, তারা দলের কেউ হতে পারে না। তারা সমাজবিরোধী।’’

জেলা তৃণমূলেরই একটি অংশের মতে, এর পিছনে রয়েছে দুই বিধায়ক নীলিমা নাগ মল্লিক এবং রত্না ঘোষের পুরনো কোন্দল। হরিণঘাটা থানার সামনে একটি বাড়ির দোতলায় বেশ কয়েক মাস ধরেই মমতাবালার ওই অফিস রয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত সচিব শতম মোদক সেখানে নিয়মিত বসেন, মাসে দু’দিন তিনি নিজেও বসেন বলে সাংসদ জানিয়েছেন।

চঞ্চলবাবুর দাবি, জেলা পরিষদ থেকে ওই ঘরটি একটি বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে সাংসদের অফিস হয়েছে কি না তা তাঁর জানা নেই। তিনি নিজে কারও নাম না করলেও তাঁর অনুগামীদের অনেকেই ঘটনাটির পিছনে রত্না ঘোষের ‘মদত’ দেখছেন।

নীলিমা-অনুগামীদের একাংশের অভিযোগ, যে ঘরে সাংসদের অফিস, সেই ঘরটি জেলা পরিষদ থেকে দলের এক কাউন্সিলরকে দেওয়া হয়েছিল। তিনি রত্নার ঘনিষ্ঠ। রত্নারই উদ্যোগে সাংসদ সেই ঘরে অফিস করেছেন। লোকজনের ভিড়ও হচ্ছে। যা নীলিমা গোষ্ঠীর না-পসন্দ। সেখান থেকেই স্বাধীনতা দিবসে গণ্ডগোলের সূচনা।

রত্না বলেন, ‘‘সাংসদ অফিস তৈরি করায় মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। তিনি যখন ওই অফিসটি সাংসদ চালু করেন, স্থানীয় বিধায়ককে জানিয়েছিলেন।’’ নীলিমা বলেন, ‘‘এলাকায় সাংসদের কার্যালয় থাকলে আমার তা জানার কথা। কিন্তু আমি তা জানি না। আর যদি ওটা পার্টি অফিস হয়, পাশাপাশি দু’টি পার্টি অফিস থাকবে কেন?" তবে কারা সেই অফিসের তালা ভেঙেছে, তা তিনি জানেন না বলে তাঁর দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন