চলছে স্বাস্থ্যপরীক্ষা। —নিজস্ব চিত্র।
বন্যা কবলিত এলাকায় এক শিবির করল স্বাস্থ্য দফতর। শনিবার কান্দির হিজল উচ্চ বিদ্যালয়ে ওই শিবির হয়। কান্দি ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের চেষ্টায় ওই শিবিরে হিজল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় সাড়ে সাতশো বাসিন্দা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।
স্বাস্থ্যশিবিরকে ঘিরে এক দিনের একটি ছোট হাসপাতালের চেহারা নিয়েছিল ওই উচ্চ বিদ্যালয়। তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক-সহ মোট নয়জন চিকিৎসক তাঁদের পরীক্ষা করেন। এ দিন রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করে সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্টও দিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও করা হয়।
কান্দি মহকুমার মধ্যে হিজল গ্রাম পঞ্চায়েত বন্যা কবলিত এলাকা বলেই পরিচিত। ওই এলাকায় কৃষিকাজ তেমন না হওয়ায় এলাকার অধিকাংশ পুরুষ রুজির টানে ভিন্ রাজ্যে বা দেশে পাড়ি দেন। কাজ শেষে ভিন্ দেশ থেকে অনেক সময় নানা রোগ নিয়ে দেশে ফেরেন। তার মধ্যে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, এইচআইভির মতো মারণ রোগও সেই তালিকায় রয়েছে। ফলে ওই ব্যক্তির মাধ্যমে তাঁর পরিবার ও আশেপাশের এলাকায় তা ছড়াতে পারে। যেহেতু উৎসবের সময় ভিন্ দেশ বা ভিন রাজ্য থেকে কাজ করে বাড়ি ফেরেন তাঁরা তাই ওই সময়টাকেই বেছে নিয়ে ওই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। শারদ উৎসবের সঙ্গে ইদ ও মহরম একসঙ্গে বেশ কয়েকটি উৎসব থাকায় ওই সময়টি বেঝে নিয়ে ওই শিবির করা হয়েছে বলে জানান তাঁরা।
কান্দি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক উজ্জ্বল চন্দ্র জানান, বাসিন্দা যারা রুজির টানে বাইরে গিয়ে নানা রোগ নিয়ে এলাকায় ফেরে সেই রোগ যাতে এলাকায় বা তাঁর পরিবারের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সেই জন্য ওই স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘যদি সেই ধরনের কোনও রোগ শিবিরে চিহ্নিত হলে সেই রোগের চিকিৎসা সরকার বহন করবে।” জেলার যে সব এলাকার বাসিন্দারা বেশির ভাগ সংখ্যা বাইরে কাজ করতে যায় সেই তালিকায় জেলার বারোটি ব্লককে চিহ্নিত করে ওই শিবির হচ্ছে। এরই মধ্যেই দশটি শিবির হয়ে গিয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।