Humayun kabir

দলটা করি, যেতে তো হবে ২১ জুলাই: হুমায়ুন

২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিধি থাকার কারণে ওই বছর ২১ জুলাই শহিদ দিবস ঘটা করে পালন করেনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

Advertisement

কৌশিক সাহা

কান্দি শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৩ ০৮:০৮
Share:

ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। — ফাইল চিত্র।

বিধানসভা ভোটের পরে যে ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালিত হয়েছিল, সেখানে দলীয় লোকজনকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়তি উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও তাঁর অনুগামীদের মধ্যে। কিন্তু এ বার ফের ওই শহিদ দিবস উপলক্ষে তেমন উচ্ছ্বাস নেই হুমায়ুন ও তাঁর অনুগামীদের মধ্যে। কী এমন হল, এই এক বছরে যে সম্পূর্ণ বদলে গেল শহিদ দিবসের প্রস্তুতি সভার চেহারা? হুমায়ুনের শুধু বক্তব্য, “দলটা করি, শহিদ দিবসে যেতে তো হবে। লোকও কিছু যাবে।” তবে সেই ‘জোশ’ নেই হুমায়ুনের গলায়।

Advertisement

২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিধি থাকার কারণে ওই বছর ২১ জুলাই শহিদ দিবস ঘটা করে পালন করেনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। কিন্তু তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরার পর ২০২২ সালের ঘটা করে শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল। ২০১১ সালে কংগ্রেসের টিকিটে রেজিনগর থেকে বিধায়ক হওয়ার পর ২০২১ সালে তৃণমূলের টিকিটে ভরতপুর থেকে রেকর্ড মার্জিনে বিধায়ক হয়ে উচ্ছ্বাসিত হুমায়ুনও ওই দিবসে লোক নিয়ে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিলেন।

তার জন্য ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। ভরতপুর কেন্দ্রের দলীয় কর্মীদের কলকাতা নিয়ে যাওয়ার জন্য ৪২টি লাক্সারি বাসের ব্যবস্থা করার সঙ্গে দলের নেতৃত্বদের যাতায়াতের জন্য প্রায় ১৫৫টি ছোটগাড়ির ব্যবস্থা করেছিলেন হুমায়ুন। আর ১০টি লাক্সারি বাস ছিল রেজিনগর এলাকার কর্মীদের সভাস্থলে যাতায়াতের জন্য। সঙ্গে ঢালাও খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা। ২১ জুলাইয়ের আগে একের পর এক প্রস্তুতি সভা, মিছিল কী হয়নি!

Advertisement

কিন্তু এ বার সে সব কিছুই নেই। নেই হুমায়ুনের গলায় সেই উচ্ছ্বাসের স্বর। হুমায়ুনের কথায় এ বার কর্মীদের জন্য শুধু ট্রেনের ব্যবস্থা। ২০ জুলাই দুপুরের পর থেকে কলকাতার উদ্দেশে যাওয়া সমস্ত ট্রেনেই দলের কর্মীরা সভায় যাবেন। তিনি বলেন, ‘‘সেখানে আমাদের জেলার জন্য যেখানে থাকার ব্যবস্থা থাকবে, সেখানেই কর্মীরা থাকবেন। তারপর সভাস্থলে গিয়ে ফের ট্রেনেই বাড়ি ফিরবে।’’ আগে অবশ্য কোন প্রস্তুতি সভার বালাই নেই। হুমায়ুন বলেন, “কিছু দেওয়াল লিখন করা হচ্ছে। ওতেই হবে। এটা আর নতুন কিছু নই। প্রতি বছরই আমাদের নেত্রী শহিদ দিবস পালন করেন। এবারও সেটাই হচ্ছে।”

তবে পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট দেওয়াকে কেন্দ্র করে হুমায়ুনের সঙ্গে দলের জেলা কমিটির যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল সেটা এখনও মেটেনি। হুমায়ুনের কয়েকজন অনুগামীকে বলাবলি করতে শোনা গিয়েছে, “দলের মধ্যে আমাদের নিয়ে কেউ খোঁজখবর রাখে না।” দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কমিটির ডাকে বহরমপুরে জেলা পরিষদের ভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও হুমায়ুনকে দেখা যায়নি। সেটা নিয়েও শাসকদলের অন্দরে ছাড়াও বিরোধী শিবিরের রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়েছিল। হুমায়ুন বলেন, ‘‘এই জেলা কমিটির সভাপতি পদে যিনি রয়েছেন, তাঁর সঙ্গে আমার বা নিয়ামত ভাইয়ের কোনও সম্পর্ক থাকবে না। যারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য দল করে, তাঁদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক রাখার প্রয়োজন বোধ করি না।” জেলা কমিটি অবশ্য কোনও মন্তব্য করেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন