দেড় মাস পার, নদীতে ভাসছে জরি-কাঠামো

বিসর্জনের পরের দিনই প্রতিমার কাঠামো থেকে শুরু করে অন্যান্য জিনিসপত্র নদীর জল থেকে তুলে ফেলার কথা। কিন্তু জগদ্ধাত্রী পুজোর দেড়মাস পরেও জলঙ্গির জলে ভাসছে প্রতিমার কাঠামো, খড়, ফুলমালা-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:১২
Share:

কৃষ্ণনগরের জলঙ্গিতে ভাসছে জগদ্ধাত্রী কাঠামো। —নিজস্ব চিত্র।

বিসর্জনের পরের দিনই প্রতিমার কাঠামো থেকে শুরু করে অন্যান্য জিনিসপত্র নদীর জল থেকে তুলে ফেলার কথা। কিন্তু জগদ্ধাত্রী পুজোর দেড়মাস পরেও জলঙ্গির জলে ভাসছে প্রতিমার কাঠামো, খড়, ফুলমালা-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র। ফলে দূষিত হচ্ছে নদীর জল।

Advertisement

কৃষ্ণনগর শহরের কদমতলা ঘাট ও মালোপাড়া ঘাটের কাছে নদীর এমনই হতশ্রী দশা। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিসর্জনের পরে পুরসভা কিছু কাঠামো তুলে নিলেও, এখনও অনেক কাঠামোই নদীর জলে ভাসছে। খড়, ফুলমালা, এ সব তো রয়েইছে। বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে প্রতিমার অবশিষ্ট কাঠামো নদী থেকে তুলে ফেলতে হবে।

কিন্তু মাঝে দেড়টা মাস কেটে গেলেও, জলঙ্গির এ হাল কেন? কী বলছে পুরসভা? কৃষ্ণনগর পুরসভার চেয়ারম্যান অসীমকুমার সাহার দাবি, “অধিকাংশ কাঠামো নদী থেকে তোলা হয়ে গিয়েছে। তবে নদী থেকে প্রতিমার কাঠামো তুলে কিছু লোক নিজেদের কাজে লাগায়। তাঁরাই কিছু কাঠামো কদমতলা ঘাট থেকে কিছুটা দূরে টেনে নিয়ে গিয়ে রেখেছে। সেগুলো তাঁরাই পরে তুলে নেবে।”

Advertisement

কৃষ্ণনগর পুরসভার সাফাই বিভাগের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল স্বপন সাহা বলছেন, “প্রতিমা বিসর্জনের পরেই প্রতিমার কাঠামো তুলে ফেলা হয়েছে। এখনও দু’একটি কাঠামো থাকলে, তা-ও তুলে ফেলা হবে।”

জগদ্ধাত্রীপুজোর সময় ‘শহরের প্রাণকেন্দ্র জলঙ্গিকে’ বাঁচান এই শিরোনামে প্রচারে নেমেছিল কৃষ্ণনগরের সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। তারা পুজো কমিটিগুলোর কাছে আবেদন জানিয়েছিল, সাজ-পোশাক খুলে রেখে যেন প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার। কৃষ্ণনগর শহরের কদমতলা ঘাটে জলঙ্গির পাড়ে এই আবেদন জানিয়ে তারা পোস্টারও লাগিয়েছিল। তা ছাড়া, সোশ্যাল মিডিয়াতেও তারা কৃষ্ণনগরের পুজো কমিটিগুলোর কাছে আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু আখেরে প্রতিমা বিসর্জনের সময়, সে আবেদনে সাড়া মিলেনি।

প্রতিমার মুকুট, জরি, চুমকি, শোলার জিনিসপত্র-সহ বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিমা। শহরের বাসিন্দা আনন্দ বিশ্বাসের কথায়, ‘‘এমনিতেই জলঙ্গি নদী ক্রমশ মজে যাচ্ছে। তার ওপরে এ ভাবে প্রতিমার কাঠামো, খড় দিনের পর নদীর জলে ভাসার ফলে জল আরও দূষিত হচ্ছে। আমরা চাই নদী থেকে প্রতিমার কাঠামো খড় তুলে ফেলা হোক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন