দেদার বিকোচ্ছে অবৈধ সিলিন্ডার, দর্শকাসনে পুলিশ

এখনও ডোমকল শহরের প্রাণকেন্দ্রে খোলাখুলি দোকানের সামনে সিলিন্ডার সাজিয়েই চলছে ওই ব্যবসা। যদিও পুলিশের দাবি, খুব তাড়াতাড়ি ওই সব অবৈধ সিলিন্ডার ধরতে অভিযান শুরু হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডোমকল শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:৩৩
Share:

গ্যাস-কারবার। নিজস্ব চিত্র

সরকারি অনুমতির কোনও বালাই নেই। নেই তকমা আঁটা ‘আএসআই’ ছাড়পত্রও।

Advertisement

তার পরেও খোলা বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে গ্যাসের ‘মিনি সিলিন্ডার’। সাধারণত ৫ বা ৭ কেজির এই সিলিন্ডার দেখে এমনিতে ফারাক করার উপায় নেই। আর অবৈধ ভাবে চলা এ রকম একটি সিলিন্ডার ফেটেই সম্প্রতি জলঙ্গির এনায়েতপুর গ্রামে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের।

তার পরেও কিন্তু টনক নড়েনি প্রশাসনের। এখনও ডোমকল শহরের প্রাণকেন্দ্রে খোলাখুলি দোকানের সামনে সিলিন্ডার সাজিয়েই চলছে ওই ব্যবসা। যদিও পুলিশের দাবি, খুব তাড়াতাড়ি ওই সব অবৈধ সিলিন্ডার ধরতে অভিযান শুরু হবে।

Advertisement

কেবল সিলিন্ডার যে ‘অবৈধ’ তা তো নয়। ওই সব সিলিন্ডারে যে গ্যাস ভরা হয়, সেটাও বিপজ্জনক ভাবে সরকারের ভর্তুকি দেওয়া সিলিন্ডার থেকে বের করে ঢোকানো হয়। অনেক সময় এই বদলাবদলি করতে গিয়েও বিপত্তি ঘটে। ডোমকলের এক গ্যাস ডিলারের অভিযোগ, সরকারি অনুমতি দুরে থাক। আইএসআই ছাড়পত্রও নেই সিলিন্ডারগুলিতে। যে লোহার পাত দিয়ে ওই সব সিলিন্ডার বানানো হয়, তাও বৈধ সিলিন্ডারের তুলনায় অনেক পাতলা। ফলে, যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তবু যেহেতু খুব কম দামে সহজে সিলিন্ডারগুলি বাজারে পাওয়া যায়, তাই লোকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সেগুলি কেনে।

দাম কম হওয়ার কারণও আছে। একে তো পাতলা পাত দিয়ে তৈরি সিলিন্ডারের দাম কম। তার উপর গ্যাসও পরিমাণে কম থাকে। তাই দাম কম পড়ে। আর সে কারণে অনেকেই সে দিকে ঝোঁকেন। সরকারের অনুমদিত ছোট সিলিন্ডার থাকলেও তা নিতে নারাজ সাধারণ মানুষ। কারণ খোলা বাজারে অবৈধ সিলিন্ডারের দাম ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায় মেলে। সেখানে সরকারের অনুমোদিত সিলিন্ডারের দাম তুলনায় বেশি এবং নথিপত্র জমা দিলে তবেই তা পাওয়া যায়। তার চেয়ে খোলা বাজার থেকে কম দামে সিলিন্ডার কিনেই অনেকে কাজ চালান।

সাধারণত গ্রামে যাঁরা বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার করেন, তাঁদের মধ্যে এই ধরনের সিলিন্ডার কেনার ঝোঁক বেশি। কারণ যে কোনও দরকারে ঘরের কাজ চালিয়ে নেওয়া যায় ওই সিলিন্ডার দিয়ে। আর তাতেই বাড়ছে বিপদ। জলঙ্গির এনায়েতপুরেও ঘরে ওই ছোট সিলিন্ডার থেকেই আগুন লেগেছিল বলে পুলিশের দাবি। তবে এমন ঘটনার পরেও কেন পুলিশের চোখের সামনেই বিক্রি হচ্ছে এই সব সিলিন্ডার? এসডিপিও (ডোমকল) মাকসুদ হাসান বলেন, ‘‘আমরা খুব শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে মাঠে নামব। অবৈধ সিলিন্ডার বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

এত দিন মাঠে নামেননি কেন, তার অবশ্য কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন