হিলোরায় থমকে গেল টোল আদায়

নদী বুজে গিয়েছে অনেক দিন। তবু সেই পথে চলাচল করতে হলে গ্রামের একাংশ বসিয়েছিল স্বঘোষিত টোল। এমনকী মানুষ চলাচলের ক্ষেত্রেও তাদের দাবি ছিল তিন টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সুতি শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৭ ০১:৪৬
Share:

উধাও: হটল ‘ট্যাক্স’ আদায়কারীরা। নিজস্ব চিত্র

নদী বুজে গিয়েছে অনেক দিন। তবু সেই পথে চলাচল করতে হলে গ্রামের একাংশ বসিয়েছিল স্বঘোষিত টোল। এমনকী মানুষ চলাচলের ক্ষেত্রেও তাদের দাবি ছিল তিন টাকা। সে খবর জানতে আনন্দবাজারে প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসল সুতি ১ ব্লক প্রশাসন। বন্ধ করে দেওয়া হল সেই টোল আদায়। সুতি ১ ব্লকের যুগ্ম বিডিও সুদীপ বসু বলছেন, “হিলোরা ও নয়াগ্রামের সড়ক পথে কোনও ফেরিঘাট নেই। ঘাটের নামে এ ভাবে টাকা আদায়ের কথা জানা ছিল না। জানা মাত্র অভিযোগ পেয়ে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

তৃণমূলের জেলা সম্পাদক এলাকার বাসিন্দা আশিস ঘোষ। তিনি জানান, তিনি নিজেই গত নির্বাচনের সময় প্রচারে গিয়ে ওদের তোলাবাজির শিকার হয়েছেন তিনি। আশিসবাবু বলেন, “এখন ঘাটের নামে তোলাবাজি বন্ধ করে দিয়ে তারা প্রমাণ করে দিলেন এতদিন তা চলছিল সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে।” আগে বীরভূম জেলা থেকে বেরিয়ে পাগলা নদির একটি নালা সুতির এই সড়ক পথ দিয়ে চালু ছিল। ‘সর্বশ্রী ফেরিঘাট’ নামে সেই সেতু বন্ধ হলেও টোল আদায় চলছিলই। বছর পাঁচেক আগে সেই নালা মজে যাওয়ায় হিউম পাইপ বসিয়ে গড়ে ওঠে সরকারি সড়ক। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ফেরিঘাটও। বন্ধ করে দেওয়া হয় তার সরকারি নিলাম ডাক। কিন্তু সরকারি নথিপত্রে নিলাম ডাক বন্ধ হলেও সড়ক পাড়ে একটি কুঁড়ে ঘর বানিয়ে সেখানে টোল-অফিস নাম দিয়ে তোলাবাজি চালাচ্ছিল হিলোড়ার জনকয় ‘দাদা’।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন