Ration Distribution Case

গুদামে মজুত রেশনের গম, নিষ্ক্রিয়তায় অভিযুক্ত পুলিশও

নদিয়া জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনার অধীনে রেশনে এক সময় উপভোক্তাদের গম দেওয়া হত। গত দু’বছর তা বন্ধ রয়েছে।

Advertisement

সন্দীপ পাল

রানাঘাট শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৫:৪৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

গণবণ্টন ব্যবস্থার দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তের মধ্যেই ফের রেশনের গমের বেআইনি কারবারের অভিযোগ উঠল। দিন তিনেক আগে রানাঘাটের কুপার্স ক্যাম্পের বাসিন্দারা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিপ্লব বণিকের গুদামে বিপুল পরিমাণ রেশনের গম হাতেনাতে ধরেন বলে দাবি। পরে তাঁরাই বিষয়টি রানাঘাট থানায় জানান। পুলিশ দু’টি পণ্যবাহী গাড়ি আটক করে। পরে নথিপত্র দেখে গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দার একাংশ রবিবারই রানাঘাট থানার পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপারের কাছে যথাযথ তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বিপ্লব বণিক অনেক বছর ধরে রেশনের চাল-গম অল্প দামে কিনে খোলা বাজারে চড়া দরে বিক্রি করেন। বাড়ির কাছেই একটি গুদামে তিনি সেই সব সামগ্রী মজুত রাখেন। অভিযোগ, গত শুক্রবার দুপুরে তাঁর গুদামে খাদ্য দফতরের স্ট্যাম্প-সহ বস্তায় ভর্তি গমের গাড়ি আসে। এলাকার লোকজন তা জানতে পেরে গম ভর্তি গাড়িটি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে তাঁরা বিষয়টি পুলিশকে জানান। কিন্তু পুলিশ সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ।

নদিয়া জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনার অধীনে রেশনে এক সময় উপভোক্তাদের গম দেওয়া হত। গত দু’বছর তা বন্ধ রয়েছে। ফলে তা ডিলার বা ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে আসার কথা নয়। এখন ভারতীয় খাদ্য নিগমের (এফসিআই) গুদাম থেকে গম যায় একমাত্র আটা কলগুলিতে। তা পেশাই করে তৈরি আটা আসে উপভোক্তাদের কাছে।

Advertisement

খাদ্য দফতরের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ব্যবসা করছেন এমন এক জনের মতে, সরকারি স্ট্যাম্প দেওযা ওই গমের বস্তা কোনও আটাকল মালিকই বিক্রি করেছে। তা অন্য কোনও উৎস থেকে আসা অসম্ভব। চিরকালই কিছু আটাকল মালিক সরকারের থেকে পাওয়া গমের একটা অংশ খোলা বাজারে বিক্রি করেন। রেশনের গমে দুর্নীতি নিয়েই ইডি আগেই তদন্তে নেমেছে। কিন্তু তার পরেও রেশনের গম খোলা বাজারে আসছে।

অভিযুক্ত বিপ্লব বণিক অবশ্য সোমবার দাবি করেন, "আমার ব্যবসা বৈধ। আমি রেশনের সামগ্রীর কারবারে যুক্ত নই।”

জেলা খাদ্য নিয়ামক অভিজিৎ ধারা বলেন, “গত ৯ ফেব্রুয়ারি কুপার্সে একটা ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।” রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কুমার সানি রাজকে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন