Khargram

জোড়াফুলের পোকার নাম কোঁদল

পরপর দু’বার বিধায়ক জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। প্রথমবার তৃণমূলের হাত ধরে সিপিএমে পরাজিত করে, পরে সিপিএমের হাত ধরে তৃণমূল কে পরাজিত করে খড়গ্রামের কংগ্রেস। 

Advertisement

কৌশিক সাহা 

খড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

সিপিএমের দুর্গ বলতে বোঝায় খড়গ্রাম। কিন্তু ২০০৪ সালে কংগ্রেসের টিকিটে প্রণব মুখোপাধ্যায় জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হওয়ার পর ম্যাজিকের মতো বদলে যেতে শুরু করে ওই লোকসভা কেন্দ্রের বিধানসভা কেন্দ্রগুলির রাজনৈতিক চরিত্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দায়িত্বে থাকার সময় খড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে এড়োয়ালী, মহিষার, বালিয়া ও মাড়গ্রামের মতো প্রত্যন্ত গ্রামে চারটি ব্যাঙ্ক চালু করেন প্রণববাবু। এছাড়াও ওই বিধানসভা কেন্দ্রটি যে যেহেতু লাল দূর্গ বলে পরিচিত তাই ওই কেন্দ্রের উপর গ্রামীণ রাস্তা সংস্কার থেকে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উন্নয়নের ডালি নিয়ে হাজির হয়েছিলে প্রণববাবু। ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস ও তৃণমূলের জোটে ওই এলাকায় প্রথম খাতা খোলে কংগ্রেসের আশিষ মার্জিত। পরপর দু’বার বিধায়ক জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। প্রথমবার তৃণমূলের হাত ধরে সিপিএমে পরাজিত করে, পরে সিপিএমের হাত ধরে তৃণমূল কে পরাজিত করে খড়গ্রামের কংগ্রেস।

Advertisement

কিন্তু পরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে চলে যান বিধায়ক আশিস। আশিসের সঙ্গে থাকা কংগ্রেসের একঝাঁক নেতাও তৃণমূলে চলে যান। এখন এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে একটা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে কংগ্রেসের ওই দুর্গে দোসর হয়েছে তৃণমূল ও ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। ওই ব্লকের কংগ্রেসের সভাপতি কল্যাণ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল আমাদের কাছে কোন ফ্যাক্টর নয়। কিন্তু বিজেপি একেবারে ঘারে নিঃশ্বাস ফেলছে। কিন্তু কৃষি নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রভাব আমাদের এখানেও পড়বে।”

অন্যদিকে খড়গ্রাম কেন্দ্রের তৃণমূলের নেতা তথা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ প্রয়াত মোফিজুদ্দিন মণ্ডলের স্মরণসভাকে ওই ব্লকের তৃণমূলের মধ্যে এখন দু’ভাগে ভেঙে গিয়েছে। ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি সমরেন্দ্র নাথ সাহা বলেন, “সারা বছর ধরে আমরাই লড়াই করে উন্নয়ন করছি। ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’’ আর সিপিএমের বিশ্বনাথ মণ্ডল বলেন, “সাধারণ মানুষ ফের আমাদের দিকেই ঝুঁকছেন।’’ বিধায়ক আশিস মার্জিত বলেন, ‘‘গুন্ডামি করি না, তোলাও তুলি না, কথা হবে ভোটের মাঠে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন