বিজেপি সামলাতে তৃণমূলের বুদ্ধিজীবী

কয়েক দিন আগেই কলকাতায় বুদ্ধিজীবী সম্মেলন করেছে তৃণমূল। রবিবার কৃষ্ণনগরে হল বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মঞ্চের সম্মেলন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৭ ০২:২৯
Share:

কয়েক দিন আগেই কলকাতায় বুদ্ধিজীবী সম্মেলন করেছে তৃণমূল। রবিবার কৃষ্ণনগরে হল বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মঞ্চের সম্মেলন।

Advertisement

এ দিন দুপুরে রবীন্দ্রভবনে ওই সভায় মঞ্চের রাজ্য সভাপতি শেখ মহম্মদ ওয়ায়েজুল হক বললেন, “রাজ্যে বিজেপি এবং আরএসএস সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তাকে প্রতিহত করার জন্যই আমরা এখন জেলায় জেলায় কর্মী সম্মেলন করছি।”

বিজেপি যে ভাবে আরএসএস-এর হাত ধরে ক্রমশ সাংগঠনিক ভিত বাড়ানোর চেষ্টা করছে, তাতে শঙ্কিত রাজ্যের শাসকদল। মুখ্যমন্ত্রী এক দিকে উন্নয়নের বার্তা দিচ্ছেন, আর এক দিকে হিন্দু-মুসলিমের বিভেদের অঙ্ক আটকানোর চেষ্টা করছেন। শুধু উন্নয়নের কথা বলে বিজেপির প্রসার আটকানো যাবে না, সাংস্কৃতিক ভাবে প্রতিরোধ করাও যে জরুরি, তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের কাছে তা পরিষ্কার হয়ে উঠছে ক্রমশ।

Advertisement

তাই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেই নানা সংগঠনের ব্যানারে ‘বুদ্ধিজীবী সমাবেশ’ ডাকা হচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসেবে এ দিন কৃষ্ণনগরে সভা করলেন বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মঞ্চের রাজ্য সভাপতি শেখ মহম্মদ ওয়ায়েজুল হক, সহ-সভাপতি অচিন্ত্যকুমার গোস্বামী, সাধারণ সম্পাদক সুদীপকুমার রায়েরা। ডাক দিলেন যে কোনও মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করার।

২০১২ সালে তৈরি এই সংগঠনটি নিজেদের অরাজনৈতিক বলে দাবি করলেও তারা যে কার্যত তৃণমূলেরই একটি গণসংগঠন তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। রাজ্য সভাপতির কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শকে সামনে রেখেই আমরা পথ চলি।” নদিয়ার তৃণমূলে নেতাদের একটা অংশের মতে, ধীরে হলেও জেলায় শিকড় ছড়াচ্ছে বিজেপি। বামেরা যত দুর্বল হচ্ছে, ততই সেই শূন্যস্থান জুড়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার চেষ্টা করছে পদ্ম। বিপদ আঁচ করেই রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে এ রকম সাংস্কৃতিক প্রচার এখন প্রায়ই চালানো হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন