নয়া প্রকল্পের উদ্বোধন নদিয়ায়

জেলা পরিষদে সৌরবিদ্যুৎ

পরিবেশবান্ধব এই প্রকল্পটি রাজ্যের সমস্ত দফতরেই চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘নদিয়াতেই প্রথম এই প্রকল্প চালু হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৮ ০২:১১
Share:

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়

রাজ্যে প্রথম কোনও সরকারি দফতরে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হল নদিয়া জেলা পরিষদে। তার ফলে বছরে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা সাশ্রয় হবে বলে দাবি করছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। সেই টাকা খরচ করা হবে জেলার উন্নয়নমূলক কাজে।

Advertisement

পরিবেশবান্ধব এই প্রকল্পটি রাজ্যের সমস্ত দফতরেই চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘নদিয়াতেই প্রথম এই প্রকল্প চালু হল। যে সব সরকারি দফতরের ছাদে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো আসে সেই সব দফতরেই এই প্রকল্প চালু করা হবে।”

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়া জেলা পরিষদে বছরে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ খরচ হয়। সৌর প্রকল্প চালু হওয়ার পরে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা সাশ্রয় হবে। কারণ, এই প্রকল্পের মাধ্যমে দৈনিক গড়ে ১৫০ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, “জেলা পরিষদের বছরে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ খরচ হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে সৌরবিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে সেটা বিদ্যুত বণ্টন সংস্থার গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে। পরে সেই পরিমাণ টাকা কেটে আমাদেরকে বিল দেওয়া হবে। সাশ্রয় হওয়া অর্থ আমরা জেলার অন্য উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করব।”

Advertisement

জেলা পরিষদের ছাপাখানা ভবনের ছাদে ৫৪০ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে ঘণ্টায় ৪০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ তৈরির ক্ষমতাসম্পন্ন এই সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটি তৈরি করা হয়েছে। খরচ হয়েছে প্রায় ৩১ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা। এ দিন জেলা পরিষদে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করতে এসে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পৃথিবী জুড়ে দূষণ ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছেছে। সভ্যতাকে বাঁচাতে অনেক বেশি করে অচিরাচরিত ও কার্বনহীন শক্তির ব্যবহার করতে হবে।’’ জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি তৃণমূলের বাণীকুমার রায় বলছেন, “মুখ্যমন্ত্রীও চাইছেন, সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ুক। আমরা তাই নিজেরাই এই বিদ্যুৎ ব্যবহার করে অন্যদের উৎসাহিত করতে চাইছি।” ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কৃষ্ণনগর ডিভিশনাল ম্যানেজার শৈবাল মজুমদার বলছেন, “এক্সপোর্ট-ইনপোর্ট মিটারের মাধ্যমে আমরা হিসাব করে জেলা পরিষদকে বিল পাঠাব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন