সিপিএমের খসড়া রিপোর্ট

সীমান্ত-গ্রামে জোট বাঁধছে আরএসএস

 সাত বছর আগে হারনো রাজ্যপাট ফেরাতে গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে ঘর বাঁধাই সেরা বাজি বলে মনে করেছিল বামেরা। ভরাডুবি সত্ত্বেও সে পথ থেকে সরে আসার কথা এখনই ভাবছে না বামেদের বড় শরিক সিপিএম।

Advertisement

সুস্মিত হালদার

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:০২
Share:

সাত বছর আগে হারনো রাজ্যপাট ফেরাতে গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে ঘর বাঁধাই সেরা বাজি বলে মনে করেছিল বামেরা। ভরাডুবি সত্ত্বেও সে পথ থেকে সরে আসার কথা এখনই ভাবছে না বামেদের বড় শরিক সিপিএম।

Advertisement

সদ্য শেষ হওয়া নদিয়া জেলা সম্মেলনেও তাই ফিরে এল সেই কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁট বাধার পরোক্ষ প্রস্তাব। রাজ্য সম্পাদ সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ অন্য রাজ্য নেতৃত্ব পরিষ্কার করে দিয়ে গিয়েছিলে —বামফ্রন্টের বাইরে জোট নয়। তবে, একটা খোলা উঠোনও রেখে দিয়েছিলেন তাঁরা, প্রয়োজনে ধর্ম নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য, বিজেপি ও তৃণমূলকে হারাতে আন্তরিক দলের সঙ্গে আঞ্চলিক সমঝোতা করা যায়।

সম্মলনে তাই আলোচনা হল, সিপিএমের সংগঠন যেখানে দুর্বল সেখানে বামফ্রন্টের বাইরে অন্য কোন দল এগিয়ে এলে তাদের প্রার্থীকে সমর্থন করা হবে। অর্থাৎ, কংগ্রেস নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনেও সিপিএমের প্রধান লক্ষ্য বিজেপি ও তৃণমূল। দলের এক জেলা নেতা মনে করছেন, বাম বিরোধী ভোট যাতে ভাগ হয়ে না যায় সে জন্যই এই প্রয়াস।

Advertisement

তবে সম্মেলনে অনেকে বক্তাই বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের সঙ্গে জোট করে জিতে কংগ্রেসের বিধায়কদের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। আর সেই বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলেই দাবি করছেন জেলা নেতারা। তাদের কথায়, ‘‘আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছি বলেই তো এ বার সমর্থনের প্রশ্নে ‘বিশ্বাসযোগ্য’ কিনা সেটা বিবেচনা করে দেখার কথা বলেছি।’’

খসরা রিপোর্টে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাজ্যে আরএসএস-এর তৎপরতা বাড়ছে। এবং তা বামেদের সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই। তারা ক্রমেই সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলিকে ঘাঁটি বানানোর চেষ্টা করছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বার জেলা কমিটি করা হয়েছে ৫০ জনের। গতবারের ১০ জন এবার জেলা কমিটি থেকে বাদ গিয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই বয়স ও অসুস্থতার কারণে নিজেরাই তরুণদের জায়গা করে দিতে চেয়ে থাকতে চাননি বসে সিপিএমের জেলা নেতাদের দাবি। তাদের পরিবর্তে নতুন যে দশ জনকে জেলা কমিটিতে নেওয়া হয়েছে তারা সকলেই তরুণ বলে দলের দাবি। নির্বাচিত জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, “নতুন প্রজন্ম সদস্যপদ গ্রহণ করতে আসছে। দলের নানান সংগঠিক স্তরেও নেতৃত্ব দিতে উঠে আসছে তরুণরাই, এটাই ভাল লক্ষণ।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন