ঝুঁকি নিয়েই গঙ্গা পারাপার
Launch Ghat

তিন বছর পরেও চালু হল না লঞ্চ

বেলডাঙার কুমারপুর ঘাট থেকে সাটুই ফেরিঘাটে পৌঁছনোটা এখনও ঝুঁকির যাত্রা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাসিন্দাদের কাছে। এই এলাকায় গঙ্গার একদিকে শিয়ালদহ-লালগোলা রেলপথ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বেলডাঙা শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:১৬
Share:

—ফাইল চিত্র

প্রতিবার ভোটের আগে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেন রাজনৈতিক নেতারা। নতুন আশ্বাস তো পালন করেনই না তাঁরা, পুরনো প্রতিশ্রুতি পালনের কথা তাঁদের মনে থাকে না বলে আক্ষেপ করছেন বেলডাঙার কুমারপুরের বাসিন্দাদের একাংশ।

Advertisement

বেলডাঙার কুমারপুর ঘাট থেকে সাটুই ফেরিঘাটে পৌঁছনোটা এখনও ঝুঁকির যাত্রা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাসিন্দাদের কাছে। এই এলাকায় গঙ্গার একদিকে শিয়ালদহ-লালগোলা রেলপথ। উল্টোদিকে কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখার রেলপথ। স্বাভাবিকভাবেই অসংখ্য যাত্রী প্রতিদিন কুমারপুর ও সাটুই ঘাট পারাপার করেন।

সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত থাকে এই ফেরিপথ। কিন্তু নৌ পরিবহণ নিয়ে বিস্তর অভাব-অভিযোগ রয়েই গিয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী তোলার অভিযোগ তো আছেই, জেটি না থাকা, গঙ্গার ঘাটে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই ক্ষোভ উগরে দেন যাত্রীরা। ক্ষোভ প্রশমনে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে রাজ্যের পরিবহণ দফতর বেলডাঙা পুরসভাকে একটি লঞ্চ দিয়েছিল।

Advertisement

তৎকালীন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যোগে তাঁর দফতর বেলডাঙা পুরসভাকে সেটি দেয়। ৭০ লক্ষ টাকা দামের সেই লঞ্চ বেলডাঙার কুমারপুর ঘাটে পৌঁছেছিল প্রতিশ্রুতি মতও। ব্যস ওই পর্যন্তই। সেই লঞ্চ আজও চালু হয়নি বলে অভিযোগ। বেলডাঙা পুরসভাকে সেই লঞ্চের কর্মীদের বেতন দিতে হয়।

লঞ্চের জন্য জ্বালানিও সরবরাহ করতে হয়। কিন্তু সেই লঞ্চের দেখা নেই। সেটি এখনও কোথায় রয়েছে, তা-ও কেউ বলতে পারেন না। বেলডাঙার মানুষ কোনওদিন সেই লঞ্চে পা রাখতে পারবেন কি না, এখন তা নিয়েও সংশয় রয়েই গিয়েছে। বেলডাঙা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর কিশোর ভাস্কর বলেন, “বেলডাঙা পুরসভার জন্য লঞ্চ দেওয়া হলেও সেই লঞ্চ কোথায় কেউ জানে না। যাত্রীরা ব্যবহার করতে না পারলেও বেলডাঙা পুরসভাকে লঞ্চের সারেঙদের বেতন ও জ্বালানির টাকা দিতে হয় নিয়মিত। তিন বছর কেটে গেলেও সেই লঞ্চ আজও চালু হল না। কোনও দিন চালু হবে কি না, তা-ও বোঝা যাচ্ছে না।”

কিন্তু কেন এমন অবস্থা? প্রথমে পুরসভা জানিয়েছিল, লঞ্চ চলাচলের ঘাট পাওয়ায় সমস্যা রয়েছে। তারপর তার জানায়, জেটি নেই তাই চালু করা যাচ্ছে না। কিন্তু পরিকাঠামো না থাকলেও কেন বেলডাঙা পুরসভাকে তবে লঞ্চ দেওয়া হল। সেই উত্তর মেলেনি। কিছু দিন আগে পুরসভা সূত্রে জানা যায়, বেলডাঙায় চালু যতদিন হচ্ছে না ততদিন বহরমপুর, লালবাগের গঙ্গায় ব্যক্তিগত ভাবে নাকি লঞ্চটি ভাড়া দেওয়া হয়।

লঞ্চ বেলডাঙায় চালু করা গেল না কেন? বেলডাঙার পুরপ্রশাসক ভরত ঝাওর বলেন, “আমাদের একটা ঘাট পাওয়ার কথা। সেটা পেলে লঞ্চ চালু করা যাবে। কিন্তু এখনও সেটা পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, লঞ্চ চালাতে না পেরে আমরা লঞ্চ ফেরত দেওয়ার কথাও বলে ছিলাম।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন