বর্জ্য সংগ্রহকারী যান। —নিজস্ব চিত্র।
বাড়ির আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা নেই। যেখানে-সেখানে রাস্তার উপরে বা পাশেই যাবতীয় নোংরা ফেলে রাখা হয়। সমস্যায় পড়তে হয় পথচলতি মানুষকে।
করিমপুরে এই সমস্যা নতুন নয়। রাস্তার পাশে নির্দিষ্ট আঁস্তাকুড় তৈরির দাবি ছিল এলাকাবাসীর। সেই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হল করিমপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত। গত শনিবার থেকে ‘সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্প চালু করেছে তারা।
করিমপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা যায়, পঞ্চায়েতকে দেওয়া স্থানীয় একটি মিশনের প্রায় দশ কাঠা জমির উপর অভয়পুরে এই প্রকল্প গড়া হয়েছে। আপাতত করিমপুর এলাকা পরিষ্কার রাখতে আইএসজিপি-২ তহবিলের প্রায় ২২ লক্ষ টাকা খরচে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। প্রতি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করার জন্য তিনটি ভ্যান রয়েছে। এই কাজের জন্য এলাকার ১১ জন ছেলেকে যুক্ত করা হয়েছে।
আবর্জনা জমা করার জন্য এলাকার প্রতিটি বাড়িতে দু’টি করে প্লাস্টিকের বালতি দেওয়া হয়েছে। পচনশীল নয় এমন আবর্জনা লাল বালতিতে ও পচনশীল বর্জ্য সবুজ বালতিতে রাখতে বলা হয়েছে। প্রতি দিন এক সময়ে ভ্যান গিয়ে পাড়ার সব বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে অভয়পুরে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে পচনশীল আবর্জনা পচিয়ে সার তৈরি হবে, পচনশীল নয় যা কিছু তা নষ্ট করে ফেলা হবে। উৎপাদিত সার চাষিদের বিক্রি করা হবে।
স্বাভাবিক ভাবেই, পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, নোংরা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় এত দিন অনেকেই রাস্তার পাশে কিংবা নদীর পাড়ে আবর্জনা ফেলে আসতেন। এখন নতুন ব্যবস্থায় সকলে দু’রঙের বালতিতে জমানো আবর্জনা পঞ্চায়েতের ভ্যানে ফেলবে। করিমপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অরুণ হালদার বলেন, ‘‘দিন-দিন জনসংখ্যা বাড়লেও তাঁদের আবর্জনা ফেলার যথাযথ জায়গা দেওয়া যাচ্ছিল না। তাঁদের সমস্যার কথা ভেবে এবং শহরের রাস্তাঘাট পরিষ্কার রাখতেই এই উদ্যোগ।’’
ইতিমধ্যে এলাকায় প্রতিটি বাড়ি, বাজারের দোকানে দু’টি করে বালতি দেওয়া হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েতের তরফে সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে, তাঁরা যেন রাস্তা বা অন্যত্র আবর্জনা না ফেলে পঞ্চায়েতের ভ্যানে ফেলেন। এই পরিষেবার জন্য সামান্য একটা কর ধার্য করা হবে। কিন্তু এর পরেও কেউ রাস্তায় নোংরা ফেললে প্রথমে সতর্ক করা হবে, তাতেও কাজ না হলে জরিমানা করা হবে।