অনুশীলন কেন্দ্র।—নিজস্ব চিত্র
নতুন ভাবে সেজে উঠেছে জেলার ইন্ডোর ক্রিকেট অনুশীলন কেন্দ্র। প্রায় তিন দশক আগে কৃষ্ণনগর জেলা স্টেডিয়ামের অন্দরে ওই অনুশীলন কেন্দ্র গড়ে ওঠে। কিন্তু স্থানাভাবে সেখানে অনশীলনে সমস্যা হতে। বোলার-ব্যাটসমান-উইকেটরক্ষক—সকলেই সমস্যা হত। সেই সমস্যা মেটাতে ওই অনুশীলন কেন্দ্রকে নবকলবরে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে তা শেষ হয়েছে। সোমবার ওই কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রাক্তন ক্রিকেটার উদয়ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অনুশীলন কেন্দ্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জগমোহন ডালমিয়া ইন্ডোর ক্রিকেট প্র্যাকটিস সেন্টার।’ প্রসঙ্গত, এ দিন ছিল ডালমিয়ার জন্মদিন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রয়াত ক্রিকেট প্রশাসককে সম্মান জানাতেই তাঁর নামে ওই কেন্দ্রের নামকরণ করা হয়েছে।’’ এ দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক গৌতম বিশ্বাস, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, বাংলার প্রাক্তন ফুটবলার কৃষ্ণ মিত্র প্রমুখ। উদয়ভানু বন্দোপাধ্যায় বলেন, “সারা বছরই ক্রিকেটারেরা এখানে অনুশীলনের সুযোগ পাবেন। এই ধরনের সুবিধা রাজ্যের গুটিকতক জেলায় রয়েছে।’’
জেলা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, আশির দশকে জেলা স্টেডিয়ামে ইন্ডোর ক্রিকেট অনুশীলন কেন্দ্র তৈরি হয়। কিন্তু তা আয়তনে ছোট ছিল। বোলার দৌঁড়নোর পর্যাপ্ত জায়গা পেতেন না। সেই অসুবিধা দূর করতে মাস ছ’য়েক আগে জেলা ক্রীড়া সংস্থা ওই অনুশীলন কেন্দ্রের সম্প্রসারনের উদ্যোগ নেয়। এ কাজে এগিয়ে আসে সিএবি। সিএবি পাঁচ লক্ষ টাকা দেয়। সেই টাকাতেই ওই কাজ হয়েছে। তবে এখনও সব কাজ শেষ হয়নি। কৃত্রিম ঘাস লাগানো বাকি রয়েছে। কৃষ্ণনগর স্টেডিয়ামে সিএবি অনুমোদিত ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্প রয়েছে। সেখানে প্রায় ১৫০ জন ক্রিকেটার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। কৃষ্ণনগরের নাজিরাপাড়ার অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া সায়ন মাজি প্রায় চার বছর ধরে এখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। সায়ন জানিয়েছে, ইন্ডোর ছোট হওয়ায় বল করার জন্য দৌঁড়নোর পর্যাপ্ত জায়গা ছিল না। ফলে সমস্যা হত। এ বার সে সমস্যা দূর হবে। একই কথা শুনিয়েছে ধুবুলিয়ার খুদে ক্রিকেটার সামিমউদ্দিন বিশ্বাস।