গাছ উপড়ে তার ছিঁড়ল দামাল ঝড়

রবিবারের পরে সপ্তাহের প্রথম দিন বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি পেয়ে নানা রকম পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন অনেকেই। সব ভেস্তে দিল প্রভাতী কালবৈশাখী। ছুটির দিনে ভালমন্দ খাওয়ার জন্য সকাল-সকাল বাজারে গিয়েছিলেন যাঁরা বৃষ্টি-ঝড়ে তাঁদের তথৈবচ দশা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৮ ০৩:১০
Share:

বৈশাখের সকালে খর রোদ ওঠার আগেই চারিদিকে সন্ধ্যার অন্ধকার। কিছুক্ষণের মধ্যেই তীব্র হাওয়া, সঙ্গে বৃষ্টি। মাঝেমধ্যে বিদ্যুতের ঝলকানি আর কান ফাটানো বাজের শব্দ।

Advertisement

রবিবারের পরে সপ্তাহের প্রথম দিন বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি পেয়ে নানা রকম পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন অনেকেই। সব ভেস্তে দিল প্রভাতী কালবৈশাখী। ছুটির দিনে ভালমন্দ খাওয়ার জন্য সকাল-সকাল বাজারে গিয়েছিলেন যাঁরা বৃষ্টি-ঝড়ে তাঁদের তথৈবচ দশা। পথে লোক এমনিতেই কম ছিল, বৃষ্টির দাপটে তা প্রায় জনশূন্য। নবদ্বীপে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে এদিন বুদ্ধ পূর্ণিমার স্নানার্থীদের ভিড় দ্রুত হাল্কা হতে শুরু করে। ভেস্তে যায় রাজনৈতিক দলহুলির ভোটপ্রচারের পরিকল্পনা। সকাল তখন সাড়ে ৮টা। প্রবল ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেল নদিয়া-মুর্শিদাবাদ। ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা বেশি মুর্শিদাবাদেই। দুই জেলার বিভিন্ন জায়গায় গাছ পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তার ছিঁড়ে থমকে যায় ট্রেন। ওভারহেড তারে গোলযোগে বেথুয়াডহরি স্টেশনের কাছে দাঁড়িয়ে যায় আপ শিয়ালদহ-লালগোলা হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস। ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেনটি।

সোমবারের ঝড় আক্ষরিক অর্থেই চাষির পাকাধানে মই দিয়েছে। ভেসে যায় কয়েক হাজার হেক্টর জমির পাকা বোরো ধান। এই সময় মাঠের অধিকাংশ বোরো ধান পেকে গিয়েছিল। শুধু মুর্শিদাবাদেই প্রায় আশি হাজার হেক্টর জমিতে বোরোচাষ হয়। তার অর্ধেকের বেশি পেকে গিয়েছিল। অনেকই জমিতে ধান কেটে জড়ো করেছিলেন। সেগুলি সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যে সব ধান পাকার মুখে ছিল তার শিষেও জল লেগেছে। ফলে সেগুলিরও যথেষ্ট ক্ষতি হবে। এ দিন মহকুমা কৃষি আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুর্শিদাবাদের কৃষি আধিকারি তাপসকুমার কুন্ডু।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন