প্রতীকী ছবি।
দলনেত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের কথা ছিল জেলা নেতাদের। অথচ তৃণমূলের সেই একান্ত বৈঠকের ভার্চুয়াল লিঙ্ক পৌঁছে গেল বিরোধী নেতাদের কাছে। আর ডাক পেলেন না দলেরই পরিচিত নেতারা। যা নিয়ে দলের অন্দরে মুখভার হয়েছে অনেকের। জেলার সাধারণ সম্পাদক সুবোধ দাস সেই তালিকায় অন্যতম, রয়েছেন সদ্য দলে ফেরা প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর-ও। সুবোধ বলেন, ‘‘ওই ভার্চুয়াল বৈঠকের কথা আমিই সবাইকে জানালাম অথচ আমার কাছে কোন লিঙ্ক এলো না।’’
মজার ব্যাপার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ পেয়েছিলেন জিয়াগঞ্জের বিজেপি নেতা শঙ্কর মণ্ডল কিংবা কংগ্রেসের পুরোনো মুখ স্বপন গোস্বামী। এমনকি দল থেকে সাসপেন্ড হয়ে থাকা ফিরোজ শেখও লিঙ্ক প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হননি। কেন এমন হল, তার কোনও স্পষ্ট উত্তর অবশ্য দলের জেলা নেতাদের কাছে মেলেনি।
তৃণমূলের অন্দরের খবর কারা লিঙ্ক পাবেন তার দায় এড়াতে পারেন না কুশলী পিকের টিমের সদস্যরাও। যা শুনে পিকের দলের অন্যতম সদস্য মুর্শিদাবাদের দায়িত্বে থাকা জিয়ারুল রহমান বলেন, ‘‘আমরা নয় লিঙ্ক পাঠানোর দায়িত্ব ছিল দলের জেলা নেতাদের উপরে।’’ গত কয়েক দিন ধরে জেলা জুড়ে এই লিঙ্ক রহস্য নিয়ে আকছাআকছি শুরু হয়েছে পিকের টিম বনাম জেলা তৃণমূলে।
তবে বিরোধীরা কেউই ওই লিঙ্কের ব্যবহার করেননি বলে দাবি করেছেন। জিয়াগঞ্জের শঙ্কর এক সময় তৃণমূলের সক্রিয় নেতা ছিলেন। তিনি বছর দুয়েক আগে ডিগবাজি খেয়ে বিজেপিতে ভিড়েছেন। শঙ্কর বলেন, ‘‘আচমকাই দেখলাম আমাকে একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে অ্যাড করা হল। তারপর পাঠানো হল লিঙ্ক। আমি অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিটিংয়ে ছিলাম না। লিঙ্কটা ডিলিট করে দিয়েছি।’’ স্বপন গোস্বামীর কথায় ‘‘কেন আমাকে গ্রুপে যোগ করাল জানি না। ওই বৈঠক নিয়ে আমার কোনও আগ্রহ ছিল না।’’
ওই গ্রুপের অন্যতম এক অ্যাডমিন অনিকেত বারুই বলেন, ‘‘আমি তৃণমূল করি না। আমাকে কে অ্যাডমিন করেছে জানি না।’’ এই ডামাডোলের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দলের জেলা সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, ‘‘সুব্রত সাহা যখন জেলা সভাপতি ছিলেন, সেই সময়কার একটা তালিকা ধরে বিভিন্ন জনকে লিঙ্ক পাঠানো হয়েছিল। তাদের অনেকেই এখন তৃনমুলে নেই। তবে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত ছিল।’’