প্রতীকী ছবি।
তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস ইতিমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছে। কিন্তু বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হল না বুধবারও। ফলে খানিকটা অস্থিরই হয়ে পড়েছেন করিমপুরের বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।
বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণায় এত দেরি হচ্ছে কেন, তা নিয়ে যেমন দলের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠছে, চলছে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে জল্পনাও। বিজেপি সূত্রের খবর, গত লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী সুজিত ঘোষ বা মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি শাখারভ সরকার প্রার্থী হতে পারেন বলে প্রাথমিক ভাবে শোনা যাচ্ছে। কাল, শুক্রবার প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতে পারে।
মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা এলাকার মধ্যে নদিয়ার করিমপুরেই সবচেয়ে ভাল অবস্থায় আছে বিজেপি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে করিমপুর ১ ব্লকে আটটি পঞ্চায়েতে ৭০টি আসন জিতে নিয়েছে তারা। সেখানে তৃণমূলের আসন ৬১টি। সিপিএম মাত্র দু’টি এবং কংগ্রেস একটি আসন পেয়েছিল। বিজেপির দাবি, যেখানে সুষ্ঠু ভাবে মানুষ ভোট দিতে পেরেছে, সেখানেই তৃণমূল কোণঠাসা হয়েছে। অন্য দিকে, করিমপুর ২ ব্লকে বেশির ভাগ আসনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল।
বিজেপির অভিযোগ, সন্ত্রাস করে সেখানে তাদের দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। এমনকি গণনাকেন্দ্র থেকে ব্যালট চুরি করে বা বিজেপির জয়ী প্রার্থীর শংসাপত্র কেড়ে নিয়েও তৃণমূল বেশ কয়েকটি আসন দখল করেছে। ফলে, লোকসভা নির্বাচনে আধা সামরিক বাহিনীর ছত্রচ্ছায়ায় নিজেদের ক্ষমতা দেখিয়ে দেওয়ার জন্য তাল ঠুকছেন বিজেপির করিমপুরের নেতারা।
বিজেপির করিমপুর জেলা পরিষদ ৪-এর সভাপতি অমল ঘোষ জানান, ইতিমধ্যেই তাঁদের এলাকায় দেওয়াল লেখার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। শুধু প্রার্থীর নাম লেখা বাকি। নাম ঘোষণা হওয়া মাত্র লিখে ফেলা হবে। ওই এলাকার করিমপুর জেলা পরিষদ ৪-এর সম্পাদক আনন্দ ভৌমিক বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলকে শুধু ৪২টি আসনে প্রার্থী ঠিক করতে হয়। আর বিজেপিকে গোটা দেশে ৫৪২টি আসনের প্রার্থী বাছতে হয়। সে কারণে একটু দেরি হতেই পারে। তবে তা নিয়ে ভাবার কিছু নেই। ভোটের প্রায় দেড় মাস দেরি আছে। তার মধ্যে অনেক হিসেবই পাল্টে যাবে।’’
করিমপুর ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তরুণ সাহা অবশ্য দাবি করছেন, “এখানে বিজেপি কোন ফ্যাক্টরই নয়। ওদের প্রার্থী কে হল, তা নিয়ে ভাবার দরকারই নেই।” সিপিএমের করিমপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক আসাদুল খান আবার বলেন, ‘‘বিজেপি কাঁটা ফুটছে তৃণমূলের। আমাদের কিছু যায়-আসে না।’’