বহিরাগত-আশঙ্কা দক্ষিণ বিজেপিতে

রানাঘাটে বহিরাগত বনাম স্থানীয় প্রার্থী নিয়ে বিতর্ক আগে থেকেই রয়েছে। এর মধ্যেই দিন কয়েক আগে রানাঘাটে বিজেপির দফতরে দাঁড়িয়ে দলের একাধিক পদাধিকারী রানাঘাটে স্থানীয় প্রার্থীর পক্ষে সওয়াল করেন।

Advertisement

সম্রাট চন্দ 

রানাঘাট শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৯ ০০:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

রোজই ওঁরা আশা করছেন, এই বুঝি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হল। কিন্তু তা আর হচ্ছে কই? দোলের সন্ধ্যায় যা-ও কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হল, বাদই রয়ে গেল রানাঘাট। ফলে ক্রমেই কর্মীরা যেমন অধৈর্য হচ্ছেন, রোজ একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম উঠে আসায় বহিরাগত ও স্থানীয় প্রার্থী নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিচ্ছে পদ্ম শিবিরের অন্দরে।

Advertisement

বস্তুত, কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের চেয়েও রানাঘাট বেশি সম্ভাবনাময় বলে মনে করছেন বিজেপি নেতাদের একটা বড় অংশ। কৃষ্ণনগরে নানা নাম, বিশেষ করে প্রাক্তন সাংসদ তথা মন্ত্রী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে বিস্তর জল্পনার পরে শেষমেশ প্রাক্তন ফুটবলার কল্যাণ চৌবেকে প্রার্থী করা হয়েছে। তাতে আরও ঘাবড়ে গিয়েছেন রানাঘাট কেন্দ্রের নেতাকর্মীদের একটা বড় অংশ। তাঁদের আশঙ্কা, তবে কি রানাঘাটেও কি ‘বহিরাগত’ প্রার্থী দাঁড় করানো হবে?

রানাঘাটে বহিরাগত বনাম স্থানীয় প্রার্থী নিয়ে বিতর্ক আগে থেকেই রয়েছে। এর মধ্যেই দিন কয়েক আগে রানাঘাটে বিজেপির দফতরে দাঁড়িয়ে দলের একাধিক পদাধিকারী রানাঘাটে স্থানীয় প্রার্থীর পক্ষে সওয়াল করেন। কলকাতার অর্চনা মজুমদারকে যে তাঁরা প্রার্থী হিসাবে মানবেন না, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

Advertisement

রানাঘাটে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে এখনও পর্যন্ত যাঁদের নাম উঠে এসেছে, তাঁদের কেউ-কেউ এই লোকসভা এলাকার বাসিন্দা নন। মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ অর্চনা মজুমদারের নাম যেমন শোনা গিয়েছে, তেমনই দলের নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি জগন্নাথ সরকারের নামও উঠেছে। ফুলিয়ার একটি স্কুলের শিক্ষক জগন্নাথ সরকার শান্তিপুরের আদি বাসিন্দা হলেও এখন থাকেন কল্যাণীতে। আবার বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, কল্যাণীর বাসিন্দা মানবেন্দ্রনাথ রায়ের নামও উঠে এসেছে। ২০১৫-এ উপনির্বাচনে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভায় প্রার্থী ছিলেন তিনি। সেখানেই দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি। গত বার রানাঘাটের প্রার্থী সুপ্রভাত বিশ্বাসের ছেলে সুজিত বিশ্বাসের নামও উঠেছে একটি সূত্রে। বিধানসভা ভোটে বাগদার প্রার্থী বিভা মজুমদারের নামও উঠে এসেছে।

গত কয়েক দিন ধরেই রানাঘাটে লোকসভা কেন্দ্রের কয়েক জায়গায় প্রার্থীর নাম ছাড়াই দেওয়াল লেখার কাজ শুরু হয়েছে। অধৈর্য হয়ে পড়া কর্মীরা প্রতি দিনই জেলা নেতাদের কাছে খোঁজ নিচ্ছেন প্রার্থীর ব্যাপারে। জগন্নাথ অবশ্য বলেন, “যথাসময়ে আমাদের দলীয় নেতৃত্ব প্রার্থী ঘোষণা করবেন। যিনিই প্রার্থী হোন, সবাই একযোগে জেতার জন্য ঝাঁপাব।”

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন