কৃষ্ণনগরে পার্থ। নিজস্ব চিত্র
এক দিন আগেই ফুলিয়ায় তৃণমূলের কোন্দল সামলাতে আসরে নামতে হয়েছিল বিধায়ক শঙ্কর সিংহকে। শনিবার কৃষ্ণনগরে এসে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তাঁর পরামর্শ, ‘‘নিজেদের মধ্যে যদি কোনও মনোমালিন্য থাকে, তা দূর করতে হবে।”
ভোটের প্রচার যখন ক্রমশ তুঙ্গে উঠছে, তারই মধ্যে রাস্তায় একটি খুঁটি পোঁতা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কাজিয়া সামনে এসেছে। যার জেরে শুক্রবার প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে রাখা হয় জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডুকে। সামাল দিতে আসতে হয় শঙ্করকে। সেখানে দলের এক কর্মীকে নিগ্রহের প্রতিবাদে রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী রূপালী বিশ্বাসের র্যালি আটকে জেলা সভাধিপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান কর্মীদের একাংশ। এই ঘটনার পিছনে যুবনেতা শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের ইন্ধন রয়েছে অভিযোগ করেছেন পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে উপপ্রধান।
এতে সাধারণ ভোটারদের কাছে কী বার্তা গেল?
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এই প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি কোনও তৃণমূলের কোনও নেতার কাছেই। জেলা পরিষদের সভাধিপতির দাবি, “এখানকার মানুষ আগাগোড়াই তৃণমূলের পাশে রয়েছেন।” আর শুভঙ্কর বলেন, “জানি না, কেন এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।। আমি এমন কোনো ঝামেলায় ছিলাম না।”
এ দিন কৃষ্ণনগরে দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে এসে পার্থ বলেন, “আমি তো এ রকম কোনও ঘটনার কথা জানি না! খোঁজ নেব। দলের শৃঙ্খলাই বড় কথা। তৃণমূল হোক বা শাখা সংগঠন, ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রার্থীর পিছনে সকলকে দাঁড়াতে হবে।’’