অমিত শাহের সভায় মাঠ ফাঁকা। মে দিবসে। কল্যাণীতে। নিজস্ব চিত্র
কয়েক দিন আগেই নদিয়ার তাহেরপুরে নরেন্দ্র মোদীর সভায় উপচে পড়েছিল ভিড়। বনগাঁ কেন্দ্রে ভোটের আগে, বুধবার সেই নদিয়ারই কল্যাণীতে অমিত শাহের সভার মাঠ ভরল না।
কল্যাণী ও হরিণঘাটা ভৌগোলিক ভাবে নদিয়ায় হলেও উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। বিজেপি নেতারা দাবি করছিলেন, মে দিবসে কল্যাণীর সেন্ট্রাল পার্কের মাঠে বিজেপি সভাপতির জনসভায় এত ভিড় হবে যে দাঁড়ানোর জায়গা দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়বে। বাস্তবে হয়েছে ঠিক উল্টো। যা ফের বনগাঁর সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।
বুধবার দুপুরে অমিত শাহ আসার আধ ঘণ্টা আগেও মাঠে বিজেপি সমর্থকের চেয়ে পুলিশ ছিল বেশি। অমিত যখন মঞ্চে উঠলেন, সামনের অংশটুকু কেবল ভরেছে। আগামী সোমবার বনগাঁয় ভোট। তার আগে সভার এই হাল দেখে নেতাকর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক দোষারোপ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন বিধানসভা এলাকার দলীয় পর্যবেক্ষক, শহর ও গ্রামীণ মণ্ডলের সভাপতিদের দুষছেন কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, সাধারণ মানুষ তো দূর, কর্মীদেরও সময় মতো জানাননি। রানাঘাটের ভোট হয়ে যাওয়ায় ওই কেন্দ্রের প্রার্থী তথা নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি জগন্নাথ সরকার বিশেষ গা ঘামাননি, যদিও কল্যাণী তাঁর এক্তিয়ারেই পড়ে। তবে জগন্নাথের দাবি, ‘‘আমি সভার মঞ্চে থাকলেও আয়োজনের মধ্যে ছিলাম না। এ নিয়ে বনগাঁ কেন্দ্রের প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরই বলবেন।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
শান্তনুর চালচলন নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপির অন্দরের নানা প্রশ্ন উঠছে। কিছু দিন আগে ঠাকুরনগরে যোগী আদিত্যনাথের সভায় অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনি গরহাজির ছিলেন। সেই সভাতেও বিশেষ ভিড় হয়নি। অমিত শাহের সভায় ভিড় না-হওয়া প্রসঙ্গে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁদের জেলার কর্মীরা প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন বলে সভায় যেতে পারেননি। তবে কল্যাণী ও হরিণঘাটা থেকে সভায় যাওয়ার পথে বহু গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। যদিও কোথাও অভিযোগ দায়ের হয়নি। বারবার চেষ্টা করেও শান্তনুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।