নির্বাচনে ইভিএম যন্ত্রে কারচুপি হতে পারে বলে আশঙ্কা করে দলীয় কর্মীদের ইভিএম ও ভিভিপ্যাট যন্ত্রের কর্মপদ্ধতি হাতে কলমে শেখাবে তৃণমূল।
তবে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি জানিয়েছে, তারা কারচুপির আশঙ্কা করছে না এবং নির্বাচন কমিশনের উপরেও তাদের আস্থা রয়েছে। ফলে দলীয় প্রতিনিধি দল ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিলেও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দলীয় কর্মীদের তা শেখানোর কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই। অন্য বিরোধী দল সিপিএম আবার জানিয়েছে, নির্বাচনে যন্ত্রে কারচুপির আশঙ্কা তাদেরও রয়েছে। ফলে, একটি কমিটি গঠন করে নদিয়া জেলা জুড়ে দলীয় কর্মীদের তারাও ইভিএম ও ভিভি প্যাটের কাজের পদ্ধতি শেখাবে, যাতে কোনও কারচুপি হলে তাঁরা হাতেনাতে ধরতে পারেন।
বুধবার কৃষ্ণনগরে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদেরকে নিয়ে ইভিএম, ভিভিপ্যাটের বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেখানে তৃণমূলের তরফে ন’জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বিজেপি ও সিপিএমের প্রতিনিধিরাও। তৃণমূল এ দিন জানিয়েছে, শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যকে চেয়ারম্যান করে তারা একটি কমিটি গঠন করেছে। বুধবারের প্রশিক্ষণের পর সেই কমিটি জেলার ১৭টি বিধানসভা এলাকায় ঘুরে ঘুরে কর্মীদের বিশেষ করে যাঁরা বুথ এজেন্ট হবেন তাঁদের যন্ত্র সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেবে। যাতে তাঁরা কারচুপি হলেই ধরতে পারেন।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলছেন, “বিজেপি চাইবে ইভিএম মেশিনের কারচুপি করতে। আমরা সেটা কোন ভাবেই করতে দেব না। সেই মত কর্মীদেরকেও প্রস্তুত করা হবে।” তাঁর কথায়, “অরিন্দম নিজে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়র। ফলে গোটা বিষয়টা তিনি ভাল করে বুঝে নিতে পারবেন। আমাদের দলে যাঁরা কম্পিউটার ভাল বোঝেন তাঁদেরকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে অরিন্দমের সঙ্গে।” বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার বলছেন, “বিজেপিকে জেতার জন্য কারচুপি করতে হবে না। মানুষ তাদের এমনিই ভোট দেবে।” বিজেপি জানিয়েছে, কারচুপির আশঙ্কা করছে না বলেই তারা জেলা জুড়ে কর্মীদের যন্ত্র-প্রশিক্ষণের আয়োজন করছে না। আর সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে জানিয়েছেন, তাঁরা কারচুপির আশঙ্কা করছেন। তাই কমিটি তৈরি করে সব পঞ্চায়েতে কর্মীদের যন্ত্রের প্রশিক্ষণ দেবেন।