কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে করিমপুরের বিধায়ক মহুয়া মৈত্রের। আবার করিমপুরের মানুষের নজর এখন পাশের জেলার দিকে। তাঁদের জল্পনায় ঘোরাফেরা করছে বদরুদ্দোজা খান, আবু তাহের, আবু হেনার নাম।
বরাবরই করিমপুর মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। ভগবানগোলা, রানিনগর, মুর্শিদাবাদ, হরিহরপাড়া, ডোমকল ও জলঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্রের পাশাপাশি করিমপুরও তাই ওই লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকার দিকে নজর রেখেছে। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী করা হয়েছে আবু তাহেরকে। দলীয় সূত্রের খবর, বদরুদ্দোজা খান হতে চলেছেন ওই কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী। তিনিই সেখানকার বিদায়ী সাংসদ। গত ভোটে কংগ্রেসের মান্নান হোসেনকে ১৮৪৫৩ ভোটে হারিয়েছিলেন তিনি। পেয়েছিলেন ৪ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৪৭টি ভোট। সেবার তৃণমূল ছিল তৃতীয় স্থানে। তৃণমূলের প্রার্থী সাগির হোসেন ১,৪৯,০৬১ অর্থাৎ ১৬.০৭% ভোট পেয়েছিলেন। ৭.৮৫ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজেপি চতুর্থ স্থানে ছিল।
মুর্শিদাবাদ লোকসভা আসনে গত ৪০ বছরের মধ্যে ৩০ বছর সিপিএম প্রার্থীই সাংসদ হয়েছেন। আর তাদের লড়াই হয়েছে মূলত কংগ্রেসের সঙ্গে। কিন্তু দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল এবার আসন সমঝোতার পথে হাঁটতে পারে, এমন সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে পাল্লা ভারী থাকবে জোট প্রার্থীর দিকে। তবে জেলার হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী ইতিমধ্যেই আবু হেনাকে দলের প্রার্থী করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়ায় শুরু হয়েছে জল্পনা। সে ক্ষেত্রে সমঝোতায় ফাটল ধরলে বা গোঁজ প্রার্থী দেওয়া হলে সুবিধা পেতে পারেন তৃণমূলের আবু তাহের।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
নাম ঘোষণা হয়নি বিজেপি প্রার্থীরও। মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপি সহ সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “কংগ্রেসের মান্নান হোসেন ও সিপিএমের মইনুল হাসান দল ত্যাগ করে নিজেদের সুবিধার্থে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। জলঙ্গির সিপিএম বিধায়ক তৃণমূলে চলে যাওয়ায় মানুষ সব বুঝতে পেরেছে।’’ সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত করিমপুরে এবার তৃণমূলের লড়াই বিজেপির সঙ্গে হবে বলে দাবি শাখারভের। তিনি বলেন, ‘‘করিমপুরে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি ভাল ফল করেছে। লোকসভা ভোটেও করিমপুরে বিজেপি ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে।’’ তবে করিমপুর ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তরুণ সাহার দাবি, এলাকার মানুষের সমর্থন রয়েছে আবু তাহেরের দিকেই।