শয্যাবৃদ্ধিতে সায় মুখ্যমন্ত্রীর

সীমান্ত ঘেঁষা করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালের উপর প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ নির্ভর করেন। রোগীর চাপ বেশি হলে শয্যার অভাবে মেঝেতে থাকতে হয়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৭ ০৬:৫০
Share:

ফাইল চিত্র।

চিঠি পেয়ে চমকে গিয়েছিলেন তেহট্টের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত। কারণ, ‘প্রিয় গৌরীদা’ বলে চিঠিটি যিনি লিখেছেন তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠি পড়ে উচ্ছ্বসিত গৌরীবাবু বলছেন, ‘‘কালীঘাটে গিয়ে দিদিকে করিমপুর হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর কথা বলেছিলাম। করিমপুরের বিধায়ক মহুয়া মৈত্রও নেত্রীকে একই কথা বলেছিলেন। এত ব্যস্ততার মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রী যে সেটা মনে রেখে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটা ভেবে ভাল লাগছে। করিমপুরের মানুষের কাছে এটাই এই দীপাবলির সবথেকে বড় উপহার।’’

Advertisement

নবান্ন থেকে আসা ওই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন,—‘করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালের শয্যা বৃদ্ধির জন্য তুমি আমাকে অনুরোধ করেছিলে। জেনে খুশি হবে যে, সংলগ্ন এলাকার মানুষের কথা বিবেচনা করে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৫০ থেকে ৭৫ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

সীমান্ত ঘেঁষা করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালের উপর প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ নির্ভর করেন। রোগীর চাপ বেশি হলে শয্যার অভাবে মেঝেতে থাকতে হয়। তা জানতেন গৌরীবাবু। চলতি বছরের প্রথম দিকে কালীঘাটের বাড়িতে নেত্রীর কাছে তাই শয্যা বাড়ানোর ‘আবদার’ করেছিলেন তিনি।

Advertisement

১৯৫৭ সালে তৈরি হয়েছিল এই হাসপাতাল। শুরুতে ছিল ৩০টি শয্যা। সত্তরের দশকে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০টি। তার পরে এলাকায় জনসংখ্যা বেড়েছে। ভিড় বেড়েছে হাসপাতালে। কিন্ত বহু বার দাবি জানিয়েও শয্যা বাড়েনি।

তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে খুশি করিমপুরও। স্থানীয় বাসিন্দা স্মরজিৎ রায়, জয়লাল শেখেরা বলছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। প্রচুর মানুষ এতে উপকৃত হবেন।’’ খুশি হাসপাতাল কতৃপক্ষও। হাসপাতাল সুপার রাজীব ঘোষ বলছেন, ‘‘সত্যিই দীপাবলিতে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে এটা বড় উপহার। শয্যার পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ালে আরও ভাল হয়। আশা করি, মুখ্যমন্ত্রী সেই মুশকিলও আসান করে দেবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন