নেতার টানে। বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে কংগ্রেসের সমাবেশ। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
সোমবার বহরমপুরের টেক্সটাইল মোড়ে জেলা কংগ্রেসের সমাবেশ থেকে সরাসরিই তৃণমূলের দিকে আঙুল তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, সভা বানচাল করতে দলীয় সমর্থকদের বাস ভাড়ায় বাধা দেয় জেলা প্রশাসন। সভায় আসার পথেও কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের রাস্তা আটকে মারধর করা হয়েছে।
তাঁর দাবি, কংগ্রেসের সভা সফল হলে, মুর্শিদাবাদের দায়িত্বে আছেন যে তৃণমূল নেতারা তাঁদের চাকরি নিয়ে টানাটানি হবে বলেই এত তোড়জোড়। এ দিন জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অধীর, বলচেন, ‘‘ডিএম-এসপি জেলার দুই প্রসাসনিক কর্তাও আসলে মুখ্যমন্ত্রীর দুই ভাই। তাঁদের রামু-সামু বলাই বাল!’’
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই প্রসঙ্গে অধীর বলেন, ‘‘মনে রাখবেন, আমরা এখানে যারা উপস্থিত আছি তাঁদের বুকে লেখা আছে, আমাদের খরিদ করা যায়না। ফকির হতে পারি। কিন্তু আমার নাম আমির খান।”
তাঁর দাবি, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরেই এ রাজ্যে বিজেপি-র অনুপ্রবেশ। তাঁর দাবি, “আপনার (মুখ্যমন্ত্রীর) হাত ধরে, বিজেপি এ রাজ্যে লোকসভা-বিধানসভায় আসনও পেয়েছে। আর আপনি বলছেন, ত্রিপুরায় রাহুল গাঁধী হাত মেলালে ভালো ফল হত। আপনি কি একবারও ত্রিপুরার ভোটের প্রচারে গিয়েছেন? আর, আজ কংগ্রেসের ঘাড়ে চেপে বিজেপি ঠেকানোর স্বপ্ন দেখছেন আপনি!’’
এ দিন, বেশ কিছু জায়গায় কংগ্রেস কর্মীদের পথ আটকে হামলা চালায় তৃণমূল সমর্থকেরা। সভায় আসার বাসও ছিল না তেমন। সভায় তাই বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক এলেন গরুর গাড়ি চেপে। হরিহরপাড়া ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মীর আলমগীর বলেন, ‘‘কৃষকরা পণ্যের দাম পাচ্ছে না। তার প্রতিবাদ করতেই চারটি গরুর গাড়িতে প্রায় ১৮ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে কর্মীরা বহরমপুর আসেন।’’