Murder Case

স্ত্রীর ‘প্রেমিক’কে মদ্যপানের আসরে ডেকে খুন! মাটি চাপা দিয়ে দেহ লোপাটের চেষ্টা

মঙ্গলবার বিকেলে ভরতপুর থানার অন্তর্গত ঝিকরা গ্রামে একটি মাঠে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে রহিদুলের দেহ। এই খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ভরতপুর থানার পুলিশ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫ ২৩:৩০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক! অভিযোগ, সেই সন্দেহে বন্ধুকে মদের আসরে ডেকে এনে খুন করেছেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার অন্তর্গত রাধাপাড়া গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম রহিদুল ইসলাম। তাঁর বয়স ৩৫ বছর।

Advertisement

মঙ্গলবার বিকেলে ভরতপুর থানার অন্তর্গত ঝিকরা গ্রামে একটি মাঠে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে রহিদুলের দেহ। এই খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ভরতপুর থানার পুলিশ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম জিগর শেখ এবং তার ভগ্নিপতি আফসার শেখ। ধৃত দুই যুবককে মঙ্গলবার কান্দি আদালতে হাজির করানো হলে তাঁদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করা হয়।

পুলিশ সূত্রের খবর, রাধাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রহিদুলের সঙ্গে জিগরের দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্ব ছিল। মাঝেমধ্যেই জিগরের বাড়িতে যেতেন রহিদুল। অভিযোগ, জিগরের স্ত্রীর সঙ্গে রহিদুলের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জিগর সেই কথা জানতে পারার পর থেকেই রহিদুলকে খুন করার পরিকল্পনা শুরু করেন বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, গত ১৯ জুন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পরে রাহিদুলকে ফোন করে একটি জায়গায় দেখা করতে বলেন জিগর। তার পর থেকে রহিদুলের আর খোঁজ মেলেনি।

Advertisement

গত শুক্রবার রহিদুলের দাদা কবিরুল ইসলাম ভরতপুর থানায় ভাইয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনার তদন্তে নেমে সোমবার সন্ধ্যায় ভরতপুর থানার পুলিশ জিগর এবং তাঁর ভগ্নিপতি আফসার শেখকে গ্রেফতার করে। ধৃত দুই ব্যক্তি জেরায় জানান, বৃহস্পতিবার ঝিকরা গ্রামের একটি মাঠে তিন জনে মদ্যপান করেন। এরপর রহিদুলকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। পরে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছিল। শেষে আফসার এবং জিগর দু’জন মিলে গ্রামের একটি মাঠে দেহ পুঁতে দেন। মৃত রহিদুল ইসলামের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ কাজ থেকে আমার স্বামী বাড়ি ফিরে আসেন। এর পর তাঁকে কেউ ফোন করে ডাকেন। কিছু ক্ষণের মধ্যে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তার পর থেকে রহিদুলের আর কোনও খোঁজ পাচ্ছিলাম না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement