টাকা ধার করতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে খুন হয়েছে এক যুবক। নাম শঙ্কর দাস (৩৮)। সোমবার দুপুরে রানাঘাটের মিলনবাগান এলাকায় চূর্নী নদী থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছ পুলিশ। উদ্ধার হওয়ার সময় তার দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ওই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন রিয়াজুদ্দিন শেখ নামে আরও এক যুবক। সমবয়সী রিয়াজ শঙ্করের বন্ধু। হতাহতদের বাড়ি চাকদহের পুমলিয়ায়। রানাঘাটের এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “মৃতের দাদা তাঁর ভাইকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ রবিবার সন্ধ্যায় রিয়াজকে সঙ্গে নিয়ে রানাঘাটে টাকা ধার নিতে এসেছিলেন শঙ্করবাবু। টাকা ধার দিতে চাওয়া ওই লোকজনের সঙ্গে শঙ্করবাবু মদের আসরে যোগ দেয়। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। অভিযোগ, এরপরই শঙ্করকে গুলি ছোড়া হয়। পরে তাঁকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এই দেখে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে রিয়াজ। তাঁকেও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। শঙ্করবাবুর ভাই সুকুমার দাস বলেন, “দাদার আর্থিক সমস্যা চলছিল। দাদা বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে ছাগল কিনে আনে। এ জন্য তাঁর টাকার প্রয়োজন ছিল। সেই টাকা ধারের জন্য সে রবিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিল। কী কারণে দাদাকে খুন করা হয়েছে, তা বুঝতে পারছি না। আমরা হতদরিদ্র। যাঁরা এ ভাবে আমার দাদাকে খুন করল, তাঁদের কঠিন শাস্তি দাবি করছি।” পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছু সূত্র তাদের হাতে এসেছে। সেই মতো তদন্ত চলছে।