Live-in Partner Death in Murshidabad

বিয়েতে পরিবার রাজি নয়, বাড়ি ছেড়ে ছিলেন লিভ ইনে, মুর্শিদাবাদে সেই যুবকের দেহ পড়ে ঘরে, উধাও সঙ্গিনী

মঙ্গলবার সকালে ঘরের ভিতর থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে থাকায় সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘরের তালা ভেঙে যুবকের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। খোঁজ মেলেনি একত্রবাসের সঙ্গীর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:০৩
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

পরিবার থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ প্রায় বছর দশেক। পৈতৃক ভিটা থেকে বেশ কিছুটা দূরে ‘লিভ ইন’ সঙ্গীকে নিয়েই থাকতেন যুবক। কিন্তু বেশ কয়েক দিন থেকে ওই ঘরে তালা বন্ধ দেখেন প্রতিবেশীরা। মঙ্গলবার সকালে ঘরের ভিতর থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে থাকায় সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দরজার তালা ভেঙে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় যুবকের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। দেহ অনেকাংশেই তখন পচে গিয়েছে। একত্রবাসের সঙ্গীর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। দেহে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। মৃত্যুর ধরন জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কারণ অনুসন্ধানে শুরু হয়েছে তদন্ত।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম ভুটু সাহা। ৩২ বছরের ওই যুবক মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার মিঞাপুর গ্রামের বাসিন্দা। পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রেমিকাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন বলে তাঁর পরিবারে অশান্তি হয়। এর পর বাড়ি ছেড়ে অন্য একটি বাড়িতে চলে যান ভুটু। কিছু দিন পর ওই বাড়িতে চলে আসেন মির্জাপুরের বাসিন্দা ভুটুর প্রেমিকা। পরিবারের দাবি, দীর্ঘ দিন লিভ ইন করতেন তাঁরা।

প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, গত শনিবার থেকে আর দেখা যায়নি ভুটু ও তাঁর একত্রবাসের সঙ্গীকে। বাইরে থেকে তালা বন্ধ ছিল দরজা। মঙ্গলবার সকালে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে ওই বাড়ির মধ্যে থেকে। খবর দেওয়া হয় ভুটুর পরিবার ও স্থানীয় থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় যুবকের পরিবারের লোকজন এবং পুলিশ।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে একে খুন বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। দেহ উদ্ধার করে জঙ্গিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত্যু নিশ্চিত করলে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। অন্য দিকে, একত্রবাসের সঙ্গীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলছে পরিবার। তাদের দাবি, অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে ভুটুকে খুন করা হয়েছে। মৃতের বোন তিথি সাহা বলেন, ‘‘ওই মহিলাকে বিয়ে করার জন্য বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিল দাদা। ওরা দু’জনে বিয়ে করেনি। কিন্তু লিভ ইন সম্পর্কে ছিল। শুনেছি, বেশ কয়েক মাস আগে ওই মহিলার সঙ্গে অন্য এক যুবকের সম্পর্ক তৈরি হয়। আমরা অনুমান করছি, দাদাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতেই ওই মহিলা ও তার বর্তমান প্রেমিক পরিকল্পনা করে খুন করেছে।’’ অভিযুক্তের সঙ্গে বার বার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ফোন ধরেননি তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর খোঁজ চলছে। জঙ্গিপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রবীর মণ্ডল বলেন, ‘‘এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন