কার্তিক খুনে ধৃত ওষুধের স্টকিস্ট

খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে  শুক্রবার রাতে পিন্টু ভট্টাচার্য নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালি থানার পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

ওষুধের ব্যবসায় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছিল। তাই পথের কাঁটাকে সরাতে খুনের চক্রান্ত করেন এক ওষুধ ব্যবসায়ী এবং এক ওষুধের দালাল। তবে তৃতীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমেই খুনটি করানো হয়। কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালের এক চিকিৎসকের সঙ্গী ওষুধ সংস্থার দালাল কার্তিক বিশ্বাস খুনের তদন্তে নেমে এমনটাই মনে করছে পুলিশ।

Advertisement

খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে শুক্রবার রাতে পিন্টু ভট্টাচার্য নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালি থানার পুলিশ। কৃষ্ণনগরের আনন্দময়ীতলার বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এই নিয়ে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হল। তবে মূল অপরাধী এখনও অধরা বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক কুমুদরঞ্জন বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে ঢোকার মুখে গুলিতে খুন হন কার্তিক। চিকিৎসকের সামনেই তাঁকে পর পর চারটে গুলি করে আততায়ী চলে যায়। এখনও পর্যন্ত তদন্ত যত দূর এগিয়েছে তাতে পুলিশের ধারণা, ওষুধের কমিশন নিয়ে চিকিৎসকের ঘনিষ্ঠ কয়েক জন দালালের বিবাদের জেরেই এই খুন। সেই সূত্র ধরে এগিয়েই ওষুধের দালাল সাগর নাথ ওরফে বাবনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা পিন্টু ভট্টাচার্যের নাম জানতে পারেন। বাবন যে ওষুধের সংস্থার দালাল, সেই সংস্থারই কৃষ্ণনগরের ‘স্টকিস্ট’ এই পিন্টু। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন কার্তিকের কারণে পিন্টু ও বাবনের ওষুধ বিক্রি কমে যাচ্ছিল। ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ায় তাঁরা কার্তিককে খুনের ষড়যন্ত্র করে। তবে তাঁরা তৃতীয় এক ব্যক্তির সাহায্যে খুনটি করায় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এই তৃতীয় ব্যক্তিটি কে তা নিয়ে পুলিশ অবশ্য কিছু জানায়নি।

Advertisement

ঘটনার পরপরই পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজে আততায়ীর ছবি পেয়ে গিয়েছিল। কেন তার পর এগারো দিন কাটতে চললেও মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা গেল না সেই প্রশ্ন উঠছে।

কার্তিকের স্ত্রী সাবিত্রী বিশ্বাস শুক্রবারই বলেছিলেন, “কেমন তদন্ত করছে পুলিশ? সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ওদের হাত রয়েছে। যে মোটরবাইকে চেপে খুনি এসেছিল, সেটিও পাওয়া গিয়েছে। তার পরেও আমার স্বামীর আসল খুনিকে কেন গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ?”

পরিবারের কারও-কারও প্রশ্ন, পুলিশ সময় নষ্ট করে কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছে না তো? যদিও জেলার পুলিশকর্তাদের দাবি, প্রকৃত খুনিকে ধরার জন্য সমস্ত আটঘাট বেঁধে নামা হচ্ছে। তাড়াহুড়োয় যাতে কোনও ভাবে প্রকৃত আসামি হাতছাড়া না হয়ে যায়, তাই এই সতর্কতা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement