SIR Related Death In Bengal

‘ভয়ে কলকাতায় কাজে যাননি’, এসআইআর আতঙ্কে ফের মৃত্যুর অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গে! শুরু তরজা

রানাঘাটের মাটিকুমরা মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রশান্ত মণ্ডল পেশায় ঠিকাশ্রমিক। পরিবার সূত্রে খবর, কলকাতায় ঠিকাশ্রমিকের কাজ করতেন। রাজ্যে এসআইএর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সময় তিনি বাড়ি ফেরেন। তার পর আর কাজে যাননি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:১২
Share:

ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) ‘ঘটিত’ আরও একটি মৃত্যু রাজ্যে। অভিযোগ, এসআইআরের আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ। রবিবার ওই নিয়ে শোরগোল নদিয়ার রানাঘাটে।

Advertisement

রানাঘাটের মাটিকুমরা মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রশান্ত মণ্ডল পেশায় ঠিকাশ্রমিক। পরিবার সূত্রে খবর, কলকাতায় ঠিকাশ্রমিকের কাজ করতেন। রাজ্যে এসআইএর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সময় তিনি বাড়ি ফেরেন। তার পর আর কাজে যাননি। রবিবার ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রশান্তকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া না গেলেও পরিবারের দাবি, নাগরিকত্ব নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন বৃদ্ধ। সেই ভয়েই নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন তিনি।

একই কথা বলছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। মৃতের স্ত্রী নমিতা বিশ্বাস বলেন, ‘‘এসআইআর নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল ও। সর্বদা বলত, ওকে নাকি কারা বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবে। গত কয়েক দিন ওই ভয়ে কাজবাজই ছেড়ে দিয়েছিল।’’ আর তৃণমূলের দাবি, ‘এসআইআর’, ‘নথি’, ‘এনুমারেশন’— এই শব্দগুলোই বহু স্বল্পশিক্ষিত মানুষের কাছে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসআইআরের জন্য রাজ্যে একের পর এক মানুষ প্রাণ দিচ্ছেন। এর দায় নিতে হবে বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনকে। রানাঘাট সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের ফলে একের পর এক মানুষ বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছেন। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার বলছেন, একজন প্রকৃত ভোটারের নামও বাদ যাবে না। কিন্তু কেন্দ্রের শাসকদল এবং নির্বাচন কমিশন মানুষের মধ্যে এমন আতঙ্কের আবহ তৈরি করেছে যে এমন মর্মান্তিক সব পরিণতি ঘটছে।’’

Advertisement

যদিও তৃণমূলের ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। তারা বলছে, মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজে বার করুক পুলিশ। এখন রাজ্যে যে কোনও অপমৃত্যুকে এসআইআর ঘটিত বলে চালানোর চেষ্টা করছে শাসকদল। সমস্তই মিথ্যা অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement