পিতৃহারা: বাবা বিজয় সিংহের (ডান দিকে) দেহ ফেরার অপেক্ষায় সুভান। মঙ্গলবার হাজিনগরের বাড়িতে। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়
মাধ্যমিকের প্রথম দিনের পরীক্ষা শেষে ছেলেকে মোটরবাইকে বসিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বাবা। বাড়ির সামনে আসতেই রড নিয়ে হামলা চালায় তিন জন। পিছনে বসেছিল ছেলে সুভান। রক্তাক্ত অবস্থায় বাবা বিজয় সিংহকে (৪৮) অটোয় তুলে হাসপাতালে যায় সে। মঙ্গলবার সকালে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে মারা গিয়েছেন বিজয়বাবু। এ দিন আর পরীক্ষায় বসা হয়নি সুভানের।
গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের স্থানীয় শ্রমিক নেতা দিলীপ সিংহ এবং তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে। পলাতক তিনজনই।
বিজয়ের সঙ্গে কীসের শত্রুতা তাদের? হাজিনগরে বিজয়ের একটি দোতলা বাড়ি রয়েছে। একতলার ঘর ভাড়ায় নিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু থাকতেন না। ঘর ছাড়তে বলায় গোলমাল চলছিল বিজয়ের সঙ্গে। পাশের ঘরটি ভাড়ায় নিয়ে তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস চালায় দিলীপ। ভাড়াটিয়ার পক্ষ নিয়ে বিজয়ের সঙ্গে গোলমাল চলছিল তারও। সোমবার দু’পক্ষের বচসা বাধে। অভিযোগ, বিকেলে বিজয়ের উপরে হামলা চালায় দিলীপ ও তার ছেলেরা।
এলাকায় নিজেকে বিধায়ক ‘অর্জুন সিংহের লোক’ বলে দাবি করে দিলীপ। বিধায়ক সে কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘দলের কোনও পদে আর রাখা হবে না দিলীপকে। পুলিশ আইন মোতাবেক পদক্ষেপ করবে।’’