নেই রাজ্যের দেশ ট্রিপল আইটি, ধর্নায় পড়ুয়ারা

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইনফরমশন টেকনোলজি। চেনা নাম ‘ট্রিপল আইটি’। কল্যাণীর গর্বের মুকুটে একটি পালক বলেই ধরা হয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কল্যাণী শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:২০
Share:

বিক্ষোভ পড়ুয়াদের।—নিজস্ব চিত্র

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইনফরমশন টেকনোলজি। চেনা নাম ‘ট্রিপল আইটি’।

Advertisement

কল্যাণীর গর্বের মুকুটে একটি পালক বলেই ধরা হয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে। সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিলেন ১৭৫ জন পড়ুয়া। কিন্তু, সেই আশা জলে যেতে বসেছে দেখে ধর্ণায় বসেছেন তাঁরা। শুক্রবার তাঁদের ধর্ণা তিন দিনে পড়ল। কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটে যাবে।

পড়ুয়াদের অভিযোগ, তিন বছর আগে চালু হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু, এখনও নিজস্ব কোনও ক্যাম্পাসই নেই তাঁদের। একটি বেসরকারি কলেজের কয়েকটি ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সেখানেই তাঁদের ক্লাশ করানো হয়। অভিযোগ, অভাব রয়েছে শিক্ষকেরও। স্থায়ী অধিকর্তা, রেজিস্ট্রারও নেই। পড়ুয়ারা জানাচ্ছেন, এমন নেই রাজ্যে তাঁরা কার্যত জলে পড়েছেন।

Advertisement

দেশে দু’ধরনের ট্রিপল আইটি রয়েছে। কয়েকটি পুরোপুরি কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন। বাকিগুলি পিপিপি মডেল, অর্থাৎ অংশীদারিত্বে চলে। তাতে ৫০ শতাংশ মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের, ৩৫ শতাংশ সংশ্লিষ্ট রাজ্যের, বাকি ১৫ শতাংশের অংশীদারি কোনও একটি সংস্থার হাতে থাকে। কল্যাণীর প্রতিষ্ঠানটি তেমনই। রাজ্য সরকার চুক্তি মতো তাঁদের অংশিদারি হিসেবে প্রতিষ্ঠানটিকে ১৫০ বিঘে জমি দিয়েছে বছর তিনেক আগেই। পড়ুয়াদের অভিযোগ, সেই জমিতে ক্যাম্পাসের কাজ শুরুই হয়নি।

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি, এই দুটি কোর্স এখানে পড়ানো হয়। বেশিরভাগ পড়ুয়াই ভিন রাজ্যের। তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অমিত আনন্দ বলেন, ‘‘২০১৭তে আমাদের নতুন ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরু হবে বলা হয়েছিল। কিন্তু, নতুন ক্যাম্পাসের কাজই এখনও শুরু হয়নি। বেশ কয়েকটি ফ্যাকাল্টিতে কোনও শিক্ষকই নেই। সেমেস্টারের শেষ মুহূর্তে বাইরে থেকে শিক্ষক এনে দিনে কখনও কখনও আটটি ক্লাস করিয়ে অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সেই জন্যই সমস্যা সমাধানের দাবিতে ধর্নায় বসেছেন সব পড়ুয়া।’’

পড়ুয়াদের আরও অভিযোগ, তাঁদের হোস্টেল বলে কিছু নেই। কয়েকটি ছোট ফ্ল্যাটে গাদাগাদি করে তাঁদের থাকতে হয়।

শিবপুরের বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়রিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অজয়কুমার রায় এই প্রতিষ্ঠানের মেন্টর অধিকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন। এখানকারই রেজিস্ট্রার শম্ভুনাথ দত্ত ট্রিপল আইটি-র রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘সব খবর তো পড়ুয়াদের জানা সম্ভব নয়। সিপিডব্লিউডি নতুন ক্যাম্পাসের কাজ শুরু করেছে। নতুন নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানো হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন