ভোট দিয়ে  ‘মন্ত্রিসভা’ স্কুলে

ভোটদানের অধিকার পেতে এখনও অনেক বছর অপেক্ষা করতে হবে তাদের। কিন্তু এখন তাদেরই ‘ভোটে’ নির্বাচিত হল মন্ত্রিসভা। গোপন ব্যালটে হল নির্বাচন। 

Advertisement

অর্ঘ্য ঘোষ

কীর্ণাহার শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৫৬
Share:

ভোটদানের অধিকার পেতে এখনও অনেক বছর অপেক্ষা করতে হবে তাদের। কিন্তু এখন তাদেরই ‘ভোটে’ নির্বাচিত হল মন্ত্রিসভা। গোপন ব্যালটে হল নির্বাচন।
তবে ভোটকেন্দ্রে নয়, নানুরের উত্তর কীর্ণাহার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
বৃহস্পতিবার ওই স্কুলে শিশু সংসদের নির্বাচন ছিল। পড়ুয়াদের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হল মন্ত্রিসভা। স্কুল দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের মধ্যে নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যে ২০১০ সালে স্কুলে স্কুলে শিশু সংসদ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ বারেই প্রথম কীর্ণাহার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৈরি হল সংসদ। ‘ইকুই ডাইভার্সিটি ফাউন্ডেশন’ নির্বাচন পরিচালনা করে। স্কুল দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে অনেক স্কুলেই ক্লাসে ক্লাসে এক জন করে ‘মনিটর’ নিয়োগের রেওয়াজ ছিল। তাদের কাজ ছিল— চক-ডাস্টারের রক্ষণাবেক্ষণ, পড়ুয়াদের অভাব-অভিযোগ বা আচরণের কথা শিক্ষকদের জানানো। শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের একাংশের মতে, সেই মনিটরদের জায়গাই এখন নিয়েছে মন্ত্রিসভা। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি স্কুলে ১ বছরের মেয়াদে ৬ জন প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত হয় সংসদ। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়েই তৈরি হয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা-পরিবেশ, খাদ্য, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া-সংস্কৃতি এমনকি লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ বিভাগও থাকে সেই মন্ত্রিসভায়। মন্ত্রীদের কাজ নির্দিষ্ট। মিড-ডে মিল দেখভাল করে খাদ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেখে ছাত্রছাত্রীরা নিয়মিত নখ, চুল কাটছে কিনা। কার দাঁত অপরিষ্কার তা-ও। পড়ুয়াদের গাফিলতি নজরে এলে তাকে সাবধান করে এক বার সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়। তাতেও কাজ না হলে শিক্ষকের দৃষ্টি আর্কষণ করে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী করেন সমন্বয় রক্ষার কাজ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন