নজরবন্দি বহরমপুর

দুর্গাপুজোর আগে বহরমপুরের জগন্নাথঘাটের কাছে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হয়েছিলেন বহরমপুর আদালতের এক ল’ক্লার্ক। তদন্তে নেমে সিসিটিভির সূত্র ধরেই অভিযুক্তদের নাগালে পেয়েছিল বহরমপুর থানার পুলিশ। ধরা পড়ে দু’জন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:২৩
Share:

অপরাধের পরে অপরাধী নাকি কিছু সূত্র ছেড়ে যায়! এখন সূত্রের পাশাপাশি রেখে যায় তাদের ছবিও। নিট ফল, গোপন ব্যাপারটি আর থাকে না গোপনে। গুলি থেকে বাটখারা চুরি— সবই এখন সিসিক্যামেরার নজরে বন্দি।

Advertisement

দুর্গাপুজোর আগে বহরমপুরের জগন্নাথঘাটের কাছে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হয়েছিলেন বহরমপুর আদালতের এক ল’ক্লার্ক। তদন্তে নেমে সিসিটিভির সূত্র ধরেই অভিযুক্তদের নাগালে পেয়েছিল বহরমপুর থানার পুলিশ। ধরা পড়ে দু’জন।

বহরমপুরের টেক্সটাইল মোড় লাগোয়া লিগ্যাল মেট্রোলজি বিভাগের ক’য়েক লক্ষ টাকা দামের বাটখারা চুরি গিয়েছিল। সিসিক্যামেরার ফুটেজ দেখে সেই ঘটনার অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে চার জনকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার হয় বাটখারাও।

Advertisement

আবার ক’য়েক মাস আগে শহরের ওয়াইএম মাঠের কাছে একটি মোটরবাইকের বাক্স ভেঙে কেপমারি হয় দু’লক্ষ টাকা। সেখানে সিসিক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ তিন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে।

গোরাবাজারের একটি শপিংমলে মহিলার শ্লীলতাহানির ঘটনায় সেখানকার সিসিক্যামেরার ফুটেজই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। এই ধরনের একাধিক অপরাধের কিনারা করতে সাহায্য করেছে সিসিটিভি। তাই এ বারে বহরমপুর শহর ও শহর লাগোয়া আরও প্রায় ২০টি জায়গায় সিসিক্যামেরা বসাতে চাইছে জেলা পুলিশ। প্রথম দফায় পাঁচটি জায়গায় ২০টি ক্যামেরা বসানো হবে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলছেন, ‘‘শহরে বসানো ক্যামেরা অপরাধীদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করছে। আর সেই কারণেই শহরে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সিসিক্যামেরা বসানো হচ্ছে।’’

জেলা পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে বহরমপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ ২১ টি মোড়ে ৮৫টি সিসিক্যামেরা বসানো হয়। শহরের গির্জার মোড় থেকে শুরু করে রানিবাগান মোড়, টেক্সটাইল মোড়, পুরনো কান্দি বাসস্ট্যান্ড, ওল্ড কালেক্টরি মোড়, গার্লস কলেজ মোড়, পিএইচই মোড়, রবীন্দ্রসদন, ফরাসডাঙা, কুঞ্জুঘাটা-সহ ২১টি জায়গায় ক্যামেরা বসিয়ে পুলিশ নজরদারি চালাচ্ছে।

এছাড়া ব্যক্তিগত ভাবে বহু দোকান কিংবা বাড়িতে বসানো সিসিক্যামেরার ফুটেজও অনেক সময় পুলিশকে সাহায্য করছে। মূলত অপরাধ কমানো থেকে অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা, ট্রাফিকের নিয়ন্ত্রণের কাজে সিসিক্যামেরা বসানো হয়েছে বলে দাবি পুলিশ কর্তাদের।

তবে শহর ও শহর লাগোয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সিসিক্যামেরা নেই। প্রথম দফায় উত্তরপাড়া মোড়, রাধারঘাট মোড়, রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী সেতু, পঞ্চাননতলা মোড়, পুলিশ লাইন মোড়ের কাছে সিসিটিভি লাগানো হবে। গোরাবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, জমিদারি, মানকরা, ভাকুড়ি মোড়, জলঙ্গি রোড, সেবাব্রত মোড়, ভাকুড়ি থেকে হরিহরপাড়া যাওয়ার রাস্তায় ক্যামেরা বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে পুলিশ সুপারের কাছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement