—ফাইল ছবি।
পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে অনিয়মের অভিযোগ এনে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ভোটাভুটির মাধ্যমে নতুন করে বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। তার ভিত্তিতেই কড়া নিরাপত্তায় বুধবার বোর্ড গঠন হল মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। বিজেপিকে পরাস্ত করে গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড নিজেদের দখলে রাখল শাসকদল তৃণমূল। যদিও শাসকদলের বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ এনেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এই জয়কে মানুষের ‘স্বতঃস্ফূর্ত রায়ের পুনঃপ্রতিফলন’ বলে দাবি তৃণমূলের।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে পুনরায় প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন তৃণমূলের বৈশাখী সরকার। বোর্ড গঠন ঘিরে সকাল থেকে ছিল টানটান উত্তেজনা। গত পঞ্চায়েত ভোটে ৩০ আসনের এই পঞ্চায়েতে বিজেপি জয়ী হয় ১৬টি আসনে। সিপিএম ও কংগ্রেস পাঁচটি করে আসন পায়। এখানে তৃণমূল জয়ী হয় চারটি আসনে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য থাকায় বিজেপি প্রধান হিসাবে সান্ত্বনা মণ্ডলের নাম প্রস্তাব করে। অভিযোগ, সেখানেই কারচুপি করে তৃণমূলের বৈশাখী সরকারকে প্রধান করা হয়। এই নিয়েই হাই কোর্টে মামলা হয়। সম্প্রতি হাহ কোর্ট এক মাসের মধ্যে সাগরপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে পুনরায় বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেয়। সেইমতো বুধবার পঞ্চায়েতে কড়া নিরাপত্তায় বোর্ড গঠনের ভোটাভুটি হয়। সেখানেই ১৬-১৪ ব্যবধানে বিজেপির প্রধান পদপ্রার্থীকে হারিয়ে প্রধান হন তৃণমূলের বৈশাখী। প্রসঙ্গত, বৈশাখী সরকার পদ্ম প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে বোর্ড গঠনের সময় তৃণমূলকে সমর্থন করেছিলেন।
ভোটাভুটির পর বর্তমান প্রধান বৈশাখী সরকার বলেন, ‘‘এই জয় সকলের। সকলে খুব খুশি। বিজেপির সমর্থনও রয়েছে। সমর্থনের কারণ কী, ওরাই জানে।” এই জয়ের পর উচ্ছ্বসিত তৃণমূল নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত অফিসের বাইরেই প্রধানকে ফুলের মালা পরিয়ে, আবির খেলে শুভেচ্ছা জানানো হয়। জলঙ্গি উত্তর ব্লক তৃণমূল সভাপতি আমজাদ আলি খান বলেন, ‘‘প্রমাণ হয়ে গেল যে, প্রধান নির্বাচন প্রক্রিয়া অবৈধ ছিল না, মানুষের সমর্থন ছিল।”
যদিও বিজেপির দাবি, অর্থের প্রলোভনে তৃণমূলকে সমর্থক করে দল বিরোধী কাজ করেছেন তিন জন। সেই কারণেই এই হার! বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য সান্ত্বনা মণ্ডল বলেন, ‘‘আমার নাম প্রস্তাব করা হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে পারিনি। মনের অবস্থা ভাল নেই। তিন জন বেরিয়ে গিয়েছে অর্থের লোভে।”