Migrant Workers Harassment

গুরুগ্রামে আটক নদিয়ার শ্রমিক পরিবার, থানায় অভিযোগ দায়ের

নার্গিস বিবি নামে এক মহিলার অভিযোগ, বাংলাদেশি সন্দেহে তাঁর বাবা সেলিম দফাদারকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি তেহট্ট থানার ধোপট্ট এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় দশ বছর আগে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই হরিয়ানায় কাজ করতে যান।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৫ ২৩:৫৫
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

হরিয়ানার গুরুগ্রাম থানায় বাংলাদেশি সন্দেহে আটক নদিয়ার ১৩ জন পরিযায়ী শ্রমিক! এই অভিযোগ তুলে তেহট্ট থানায় দ্বারস্থ এক পরিবার। সোমবার তাঁরা তেহট্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তেহট্ট ছাড়া পলাশিপাড়া ও নাকাশিপাড়া থানা এলাকায় বাকিদের বাড়ি।

Advertisement

নার্গিস বিবি নামে এক মহিলার অভিযোগ, বাংলাদেশি সন্দেহে তাঁর বাবা সেলিম দফাদারকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি তেহট্ট থানার ধোপট্ট এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় দশ বছর আগে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই হরিয়ানায় কাজ করতে যান। তাঁরা গুরুগ্রাম থানার নাথপুরে কাজ করতেন। এত দিন কোনও সমস্যা হয়নি। হঠাৎ করে দিন দুয়েক আগে তাঁদের আটক করা হয়। তাঁদের অভিযোগ, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এমনকি প্যান কার্ড দেখালেও কোনও কথা শোনেনি পুলিশ।

নার্গিস অভিযোগ করে বলেন, ১৯৭১ সালের দলিল দেখাতে বলা হয়েছে তাঁদের। মহিলার কথায়, ‘‘আমার বাবার দাদু ১৯৬১ সালে ধোপট্ট এলাকায় বৃন্দাবন বিশ্বাসের কাছ থেকে জমি কিনে বসবাস করা শুরু করেছিলেন। সেই সঙ্গে আমার বাবার ভারতীয় পরিচয়পত্র সব আছে। তার পরেও শুধু বাংলায় কথা বলার জন্য বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করেছে গুরুগ্রাম থানার পুলিশ। বাবা দশ বছর ধরে ওই জায়গায় কাজ করছেন। মা ওখানে বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করেন। দশ বছরে কোনও সমস্যা হয় নি। এখন সমস্যা হচ্ছে।’’

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, তারা অভিযোগ পেয়েছে। গুরুগ্রাম থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement