তখনও আটকে সুচ।
ছোট থেকেই তার শখ জাদুকর হওয়ার। স্কুলে-পাড়ায় সাফাইয়ের হাতটাও মন্দ পাকায়নি ছেলেটি। বন্ধুরা ঘিরে ধরে আবদারও করে নিরন্তর, ‘দেখা না একটা ম্যাজিক!’ কাল হল তাতেই, সেই বন্ধুদের হাততালি কুড়োতে গিয়ে আস্ত একটা সুচ গিলে ফেলেছিল অঙ্কিত মণ্ডল। অসহ্য পেটে ব্যথা টানা ন’দিন ধরে। ডাক্তারি পরীক্ষার পরে সুচের অবস্থান হদিস করে শেষতক একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয় তার। বৃহস্পতিবার অস্ত্রোপচারের পরে আপাতত ভাল আছে খুদে ম্যজিশিয়ান অঙ্কিত।
বহরমপুরের মধুপুর এলাকার বাসিন্দা মনোতোষ মণ্ডলের ছেলে অঙ্কিত। তিনি বলছেন, ‘‘ছোট থেকেই ম্যাজিশিয়ান হওয়ার স্বপ্ন ছেলেটার। বকাঝকা করলেও চুপিচুপি ম্যাজিক প্র্যাকটিস চলেই তার। আর তা করতে গিয়েই ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে সাড়ে তিন ইঞ্চি লম্বা সুচ গিলে ফেলেছিল সে।’’ মনোতোষ জানাচ্ছেন, ছেলের ধারণা হয়েছিল, জাদু বলেই সেই সুচ পেট থেকে ঠিক বেরিয়ে আসবে।
প্রথমে বলতেই চায়নি তার জাদু-কাণ্ড। ব্যথা ক্রমে বাড়তে থাকলে শেষে মায়ের কাছে কবুল করে সে। মনোতোষের দাবি, ‘‘কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে ছোটাছুটি করেও দায় নিতে চায়নি তারা। শেষতক বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন করে সেই সুচ বের করেন শল্য চিকিৎসক দিব্যরূপ দত্ত প্রামাণিক।
অঙ্কিত।
দিব্যরূপ বলছেন, ‘‘আর কয়েক ঘণ্টা দেরি হলে ছেলেটির জীবন সংশয় হতে পারত।’’ তবে ন’দিনের যন্ত্রণায় ম্যজিশিয়ান হওয়ার স্বপ্ন বেবাক ভুলে গিয়েছে অঙ্কিত। সে বলছে, ‘‘ভেবেছিলাম, ম্যজিক করেই বের করে ফেলতে পারব সুচটা। বন্ধুদের কাছে হেরে যাব বলে বলতেও সাহস পাইনি। তবে ও সব আর করব না।’’
নিজস্ব চিত্র