দু’দিন ধরে অন্ধকারে ডুবে রয়েছে গোটা ফরাক্কা। ব্যারাজ টাউনশিপ-সহ গোটা ফরাক্কা ব্লকের সমস্ত গ্রামেই মঙ্গলবার রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই।
বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাঙ্কের কাজ চলছে জেনেরেটর চালিয়ে। একই ভাবে মঙ্গলবার রাত থেকে জরুরি পরিষেবা চালু রাখা হয়েছে বেনিয়াগ্রাম স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ ফরাক্কার হাসপাতালগুলিতে। বিএসএনএল পরিষেবা দুপুরের পর থেকেই ভেঙে পড়েছে। তবে ব্যারাজের লক গেট-সহ নিরাপত্তা এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।
বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফিল্ড হস্টেলের সামনে ফিডার ক্যানালের গঙ্গার উপর দিয়ে যাওয়া উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের তার ছিড়ে পড়ে জলের উপর। তারপর থেকেই অন্ধকারে ডুবে যায় ফরাক্কা। ওই সময়ে নদীতে কোনও নৌকো ছিল না। ফলে বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। বিদ্যুৎ দফতরের রঘুনাথগঞ্জের ডিভিশনাল ম্যানেজার বাণীব্রত রায় বলেন, “বুধবার সকাল থেকেই লাইনটি মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎ দফতরের একাধিক সহকারি বাস্তুকার-সহ কর্মীরা রয়েছেন। জরুরি ভিত্তিতে কাজ চলছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা চেষ্টা হচ্ছে।”
কিন্তু বুধবার রাত পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। ফরাক্কা ব্যারাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরে বিদ্যুৎ না থাকার ঘটনায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ব্যারাজের কর্তাদের কপালে। তবে বিদ্যুৎ দফতর আশ্বাস দিয়েছে, গোটা ব্লকে সম্ভব না হলেও বুধবার গভীর রাতে মধ্যে ফরাক্কা ব্যারাজের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হবে। এই বিপর্যয়ে অবশ্য এনটিপিসির এলাকায় বিদ্যুৎ সরাবরাহে কোনও সমস্যা হয়নি।