এ বার খোঁজ রানাঘাট হাসপাতালে

অবশেষে টনক নড়ল প্রশাসনের। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার প্রেক্ষিতে সদর হাসপাতালের পর এ বার রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের অগ্নিনিবার্পণ ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখতে সদলবলে ঘুরে গেলেন কর্তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানাঘাট শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৬ ০১:৪১
Share:

অবশেষে টনক নড়ল প্রশাসনের। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার প্রেক্ষিতে সদর হাসপাতালের পর এ বার রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের অগ্নিনিবার্পণ ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখতে সদলবলে ঘুরে গেলেন কর্তারা।

Advertisement

ঘড়ির কাটায় তখন দুপুর বারোটা। সদ্য ভিজিটিং আওয়ার শেষ হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি আত্মীয়দের দেখে বাড়ি ফিরছিলেন অনেকে। এ সময় হাসপাতালে ঢোকেন রানাঘাটের মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী, এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ বসু-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।

প্রায় আড়াই ঘণ্টা হাসপাতালে ছিলেন তাঁরা। আপৎকালীন পরিস্থিতি সামলানোর জন্য কী কী ব্যবস্থা রয়েছে, খতিয়ে দেখেন। দুর্ঘটনা এড়াতে হাসপাতালে কিছু রদবদল প্রয়োজন, সে নির্দেশও দেন। মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎবাবু বলেন, “কয়েকটি এসি মেশিন বাতিল করা প্রয়োজন। বাকিগুলোরও মেরামত দরকার। এ ছাড়া কিছু সিলিন্ডার রিফিলিং করা দরকার।’’ এ দিকে, হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র থাকলেও সেগুলো চালানোর মতো প্রশিক্ষণ অনেকেরই নেই। যার জন্য সেগুলো থাকা আর না থাকার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। এ জন্য, কর্মীদের আলাদা করে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান আধিকারিকরা।

Advertisement

পরে হাসপাতালের আনাচেকানাচে ঘুরে দেখে তাঁদের বক্তব্য, বাইরে বেরনোর জন্য আরও দু’টি নতুন সিঁড়ি তৈরি করতে হবে। হাসপাতালের কয়েকটি প্যাসেজ আরও চওড়া করা দরকার। তা ছাড়া সাধারণ মানুষকে কোনও বিষয়ে জানানোর জন্য পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমটিও ঢেলে সাজানো দরকার।

শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন ওয়ার্ড ছাড়াও রান্নাঘর, বাইরে বেরনোর রাস্তাগুলো ঘুরে দেখেন প্রসেনজিৎবাবুরা। সেগুলো কী অবস্থায় রয়েছে, তা-ও তাঁরা দেখেন। সিলিন্ডারগুলো কবে শেষ রিফিলিং করা হয়েছে, খোঁজ নেন তা-ও। হাসপাতালের মুল ভবনেই রয়েছে রান্নাঘর। সে নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, এ থেকে যে কোনও দিন বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। কারণ, রান্নাঘর থেকে যে আগুন লাগলে, তা নিমেষে ছড়িয়ে পড়তে পারে হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায়। সে দিক থেকে নিরাপদ, রান্নাঘরটিকে হাসপাতালের বাইরে কাছেই কোথাও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া।

মহকুমা শাসকের পরিদর্শনের পর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার শ্যামলবাবু বলেন, “কিছু বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। দু-এক দিনের মধ্যে সেই কাজ শুরু করা হবে। বিশেষ করে অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রে রিফিলিং করা দরকার। সময় লাগলেও রান্নাঘটিকে পাশে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া জন্য ভাবা হচ্ছে। নিরাপত্তা রক্ষীদের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র পরিচালনা করার বিষয়ে আগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। আবার তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন