অন্যের দোষে আমরা কেন শাস্তি পাচ্ছি?

অ্যাম্বুল্যান্সে আসতে ১৭০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে। এক রাত কাটিয়ে প্রায় বিনা চিকিৎসায় বাবাকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।

Advertisement

শাজাহান শেখ (রোগীর আত্মীয়)

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৯ ০৩:২৫
Share:

উদ্বেগ-অপেক্ষা-হয়রানি: বুধবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক

জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে তেমন চিকিৎসা পরিকাঠামো নেই। তাই ভাল চিকিৎসা মিলবে বলে সেখানকার ডাক্তারবাবুরা বাবাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিলেন। বড় হাসপাতাল, ভাল চিকিৎসা হবে— এই আশায় অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে বহরমপুরে রওনা দিলাম। মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ বাবাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে ভর্তি করি। কিন্তু ভর্তির পর থেকে কোনও চিকিৎসা হয়নি। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ এক চিকিৎসক আসেন। তিনি কিছু ওষুধ লিখে দেওয়ার পরে আমাদের জানানো হয়, বাবাকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাবা তো এখন সুস্থ হয়নি। তা হলে ছুটি কেন? চিকিৎসকেরা জানান, তাঁরা ওষুধ লিখে দিয়েছেন। হাসপাতালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তার পরে যেন বাবাকে নিয়ে আসি।

Advertisement

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে এসে জানতে পারি ডাক্তারবাবুদের আন্দোলনের কথা। এখানে জেনেছি, কলকাতার একটি হাসপাতালে একজন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। চিকিৎসকের গায়ে হাত দেওয়া কখনই মেনে নেওয়া যায় না। যারা করেছে তাদের শাস্তি হোক। কিন্তু কলকাতার কয়েক জনের অপকর্মের জন্য আমরা কেন শাস্তি পাচ্ছি?

আমরা খুব গরিব। ভ্যানরিকশা চালিয়ে সংসার চলে। অসুস্থ বাবাকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে রেফার করা হল। অ্যাম্বুল্যান্সে আসতে ১৭০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে। এক রাত কাটিয়ে প্রায় বিনা চিকিৎসায় বাবাকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।

Advertisement

আল্লার পরেই আমরা ডাক্তারদের স্থান দিই। কিন্তু সেই ডাক্তাররা আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন! এ কেমন কথা! আমরা চাই হবু ডাক্তার যাঁরা আন্দোলনে শামিল হয়েছেন, তাঁরা আন্দোলন তুলে কাজে যোগ দিন। একই সঙ্গে সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, কলকাতার ঘটনায় যারা যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিন।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন