মাস ঘোরেনি, আয়া-দৌরাত্ম্য ফেরে উঁকিঝুঁকি দিতে শুরু করেছে কল্যাণীর জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
গত এক মাসে আয়াদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য লড়াইটা চলছিলই, তবে প্রকাশ্যে আসেনি। তৃণমূলের সদ্য ‘প্রাক্তন’ কাউন্সিলর অমর রায়ের হাতে যে বীজের রোপন হয়েছিল, হাসপাতাল থেকে তাঁর বিদায়ের পরে আবার সেই আয়াদের দাপট যেন কপালে ভাঁজ ফেলেছে হাসপাতালের।
ঝগড়া, বিবাদ, রোগীদের উপরে চোটপাট এমনকী তোলা আদায়ের নব্য সব অভিযোগ দেখে তেমনই আঁচ করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অমর রায়ের হয়ে হাসপাতালে এত দিন তোলা আদায় করতেন যে আয়া, সেই তৃপ্তি ভট্টাচার্য ফের অন্য আয়াদের উপর ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এবং এ ক্ষেত্রে দলেরই কিছু নেতার প্রচ্ছন্ন মদতও যে রয়েছে, স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে তা-ও। হাসপাতালের এক চিকিৎসকের কথায়, ‘‘অমর গেছে কিন্তু তৃণমূলের অন্যরা তো আছে। জায়গাটা এ বার তারাই দখল করতে চাইছে।’’ আর সে কাজে দলের মেজো-সেজো নেতারা তৃপ্তিকেই হাতিয়ার করেছে। কাগজেকলমে হাসপাতালের আয়ারা কল্যাণী পুরসভার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, তৃণমূলের অন্দরের খবর, আয়াদের বলা হচ্ছে— তাদের কাজকর্ম দেখাশোনার ভার দলই সঁপেছে তৃপ্তিকে। ফলে ক্ষমতা হারিয়েও ফের ক্ষমতায় ফিরছেন তৃপ্তি।
তৃপ্তিকে এমন দায়িত্ব কে দিল?
দলের কেউই এ ব্যাপারে মুখ খোলেনি। পুরপ্রধান সুশীল তালুকদার বলেন, ‘‘আমরা তো কাউকে দায়িত্ব দিইনি। কেউ যদি নিজে কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করে, তা হলে কিন্তু ব্যবস্থা নেব।’’ তাঁর শাসানিতে অবশেষে আয়াকুলে তেমন ভয় চোখে পড়ছে না। এ ব্যাপারে অভিযোগের আঙুল যাঁর দিকে, সেই তৃপ্তি অবশ্য অকপট— ‘‘অমর রায়ের হয়ে আমি টাকা তুলতাম। তবে তা বাধ্য হয়েই। এখনও আমাকে দল থেকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে ওইটুকুই।’’ কে দিল দায়িত্ব? সে নাম অবশ্য করতে চাননি তিনি।